সৈয়দপুর ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট: আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

গতকাল রবিবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড় থেকে শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলনরত ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের (শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া) আবাসিক শিক্ষার্থী।

ছাত্রীদের দাবি হচ্ছে, অবিলম্বে আবাসিক হলে তাদেরকে আসন বরাদ্দ দিতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে নতুন হল খুলে দিতে হবে।

এদিকে, উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে অবস্থানে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তারা এসেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে তারাও একমত।

আন্দোলনরত ছাত্রীরা এ সময় নানা ধরনের স্লোগান দেন, দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে সিট চাই। থাকব না আর থাকব না গণরুমে থাকব না। গণরুমের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।

এ ব্যাপারে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহসিনা আক্তার মিম বলেন, গণরুমে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আছি আমরা। দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাও চলে আসতেছে। গণরুমে আমরা ৯৫ জনের মতো থাকি। তীব্র গরমের এই সময়ে এক রুমে এতজন কি থাকা যায়? তাছাড়া পড়াশোনার কোনো পরিবেশ গণরুমে নেই।

এ ব্যাপারে ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে গণরুমে আমরা প্রায় ৯৫ জন থাকি। গাদাগাদি করে থাকতে হয় এখানে। ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগে না। তাছাড়া ডেঙ্গু আতংক থাকলেও রাতে মশারি টানানো সম্ভব হয় না। আমরা অমানবিক জীবনযাপন করছি। অথচ প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই আমরা এখানে এসেছি। এক দফা দাবিতে। নতুন হল দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। আমাদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হোক।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, নতুন আরো দুটি হলের চাবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু জনবল নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসির সাথে জটিলতা তৈরি হওয়ায় লোকবলের অভাবে হল চালু করতে পারছি না। আগামী ২৭ জুলাই ইউজিসির সঙ্গে মিটিং রয়েছে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা

আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট: আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

গতকাল রবিবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড় থেকে শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলনরত ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের (শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া) আবাসিক শিক্ষার্থী।

ছাত্রীদের দাবি হচ্ছে, অবিলম্বে আবাসিক হলে তাদেরকে আসন বরাদ্দ দিতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে নতুন হল খুলে দিতে হবে।

এদিকে, উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে অবস্থানে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তারা এসেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে তারাও একমত।

আন্দোলনরত ছাত্রীরা এ সময় নানা ধরনের স্লোগান দেন, দাবি মোদের একটাই অবিলম্বে সিট চাই। থাকব না আর থাকব না গণরুমে থাকব না। গণরুমের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।

এ ব্যাপারে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহসিনা আক্তার মিম বলেন, গণরুমে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আছি আমরা। দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাও চলে আসতেছে। গণরুমে আমরা ৯৫ জনের মতো থাকি। তীব্র গরমের এই সময়ে এক রুমে এতজন কি থাকা যায়? তাছাড়া পড়াশোনার কোনো পরিবেশ গণরুমে নেই।

এ ব্যাপারে ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে গণরুমে আমরা প্রায় ৯৫ জন থাকি। গাদাগাদি করে থাকতে হয় এখানে। ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগে না। তাছাড়া ডেঙ্গু আতংক থাকলেও রাতে মশারি টানানো সম্ভব হয় না। আমরা অমানবিক জীবনযাপন করছি। অথচ প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই আমরা এখানে এসেছি। এক দফা দাবিতে। নতুন হল দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। আমাদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হোক।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, নতুন আরো দুটি হলের চাবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু জনবল নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসির সাথে জটিলতা তৈরি হওয়ায় লোকবলের অভাবে হল চালু করতে পারছি না। আগামী ২৭ জুলাই ইউজিসির সঙ্গে মিটিং রয়েছে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।