সৈয়দপুর ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি হত্যা করলে বিচার হতো, অথচ শিবির হত্যা করলে বিচার হতো না – মাওলানা আবদুল হালিম

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি হত্যা করলে বিচার হতো অথচ শিবির হত্যা করলে বিচার হতো না, সেখানেও এখন শিবির দাড়ি টুপি আওয়ালারা নারায়ে তকবির আল্লাহ হুকবার বলছে। প্রতিশোধ আমাদেও নিতে হবে না, ত্রয়োদশ সংসদে ইসলামী নেতৃত্ব পাঠিয়ে এ জুলুমের বিচার ও জবাব দেয়া হবে।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৭০ জন হাফেজ ও ৪০০ জন আলেম জীবন দিয়েছে। জামায়াতের নেতাদের আইন করে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবকে জুলুম করে বিদায় করা হয়েছে। সেগুলোর প্রতিশোধ আমরা কারো উপর নিব না, বাংলাদেশের সংসদে ইসলামী নেতৃত্ব পাঠিয়ে এ জুলুমের বিচার ও জবাব দেয়া হবে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ জামায়াত অফিস চত্তরে নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৭০ জন হাফেজ ও ৪০০ জন আলেম জীবন দিয়েছে। জামায়াতের নেতাদের আইন করে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবকে জুলুম করে বিদায় করা হয়েছে। ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছিল যে রানী, ২৪ গণঅভ্যুত্থাণের কারণে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাংলাদেশের। যে বাংলাদেশের জনগণ অনিয়ম, দুর্নীতি, টাকা পাচার, বৈষম্য দেখতে চায় না। তাই বাংলাদেশের জনগণ মনে করছে ভারতের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়োজন। ঘরে ঘরে, বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের মাঝে জামায়াতের সুর উঠেছে। তাই বসে থাকার দিন নেই, ভোটের মাঠে কাজ করুণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় জামায়াত-শিবিরের কেউ কোন অফিসে ঢুকতে এবং বসতে পারিনি। এখন পুরো বাংলাদেশ জামায়াতের জন্য উন্মুক্ত। এ থেকে বুঝতে পারছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। তাই বসে না থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চান। পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে কমিটি করেন। ভোটের দিন পর্যন্ত মাঠে কাজ করুণ। জনগণের আকাঙ্খায় ফ্যাসিস্ট পালিয়েছে, এবার সংসদে ইসলাম যাবে।

উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রশিদ শাহের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ফেরদৌস আলমের সঞ্চালনায় নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খাইরুল আনাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির রংপুর মহানগরের সভাপতি নুরুল হুদা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আক্তারুজ্জামান বাদল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম রতন, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম, শিব্বির আহমেদ ও পুটিমারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আফজালুল হক।
নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে জামায়াতের নারী-পুরুষ ৪৬০ জন দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি হত্যা করলে বিচার হতো, অথচ শিবির হত্যা করলে বিচার হতো না – মাওলানা আবদুল হালিম

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি হত্যা করলে বিচার হতো অথচ শিবির হত্যা করলে বিচার হতো না, সেখানেও এখন শিবির দাড়ি টুপি আওয়ালারা নারায়ে তকবির আল্লাহ হুকবার বলছে। প্রতিশোধ আমাদেও নিতে হবে না, ত্রয়োদশ সংসদে ইসলামী নেতৃত্ব পাঠিয়ে এ জুলুমের বিচার ও জবাব দেয়া হবে।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৭০ জন হাফেজ ও ৪০০ জন আলেম জীবন দিয়েছে। জামায়াতের নেতাদের আইন করে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবকে জুলুম করে বিদায় করা হয়েছে। সেগুলোর প্রতিশোধ আমরা কারো উপর নিব না, বাংলাদেশের সংসদে ইসলামী নেতৃত্ব পাঠিয়ে এ জুলুমের বিচার ও জবাব দেয়া হবে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ জামায়াত অফিস চত্তরে নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৭০ জন হাফেজ ও ৪০০ জন আলেম জীবন দিয়েছে। জামায়াতের নেতাদের আইন করে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবকে জুলুম করে বিদায় করা হয়েছে। ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছিল যে রানী, ২৪ গণঅভ্যুত্থাণের কারণে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাংলাদেশের। যে বাংলাদেশের জনগণ অনিয়ম, দুর্নীতি, টাকা পাচার, বৈষম্য দেখতে চায় না। তাই বাংলাদেশের জনগণ মনে করছে ভারতের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়োজন। ঘরে ঘরে, বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের মাঝে জামায়াতের সুর উঠেছে। তাই বসে থাকার দিন নেই, ভোটের মাঠে কাজ করুণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় জামায়াত-শিবিরের কেউ কোন অফিসে ঢুকতে এবং বসতে পারিনি। এখন পুরো বাংলাদেশ জামায়াতের জন্য উন্মুক্ত। এ থেকে বুঝতে পারছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। তাই বসে না থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চান। পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে কমিটি করেন। ভোটের দিন পর্যন্ত মাঠে কাজ করুণ। জনগণের আকাঙ্খায় ফ্যাসিস্ট পালিয়েছে, এবার সংসদে ইসলাম যাবে।

উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রশিদ শাহের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ফেরদৌস আলমের সঞ্চালনায় নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খাইরুল আনাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির রংপুর মহানগরের সভাপতি নুরুল হুদা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আক্তারুজ্জামান বাদল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম রতন, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম, শিব্বির আহমেদ ও পুটিমারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আফজালুল হক।
নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে জামায়াতের নারী-পুরুষ ৪৬০ জন দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ করেন।