সৈয়দপুর ০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তার সমস্যা সমাধানে মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে- আসিফ মাহমুদ

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪১ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব আর বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এসমস্যা নিরসনে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বছরের শুরু দিকে তিস্তার পানির যে সমস্যা সেটা কিভাবে নিরসন করা যায়, একটা দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান কি হতে পার- তার জন্য গণশুনানীর আয়োজন করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা শুনব, তিস্তার সমস্যাগুলা শুনে তার প্রেক্ষিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় উত্তরবঙ্গের প্রতি যে বৈষম্য হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার সেই বৈষম্য ঘােচাতে এবং সারাদেশে যে ভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে, ঠিক একই ভাবে যাতে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়ন কার্যক্রম হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এ অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগামি একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় উৎপাদিত ফসলের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ উদ্বৃদ্ধ থাকে। এটা দিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।

এ অঞ্চলে কৃষি ভিক্তিক শিল্পের বিস্তারে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। উত্তরবঙ্গের লোকদেরকে আরো শক্তিশালি করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সংস্কার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টানকে ধ্বংস করা হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে যদি পুন:গঠন না করা হয় তাহলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে কখনোও বের হতে পারব না। তাই আমরা এইসব সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরা বলেন, আমি দেখছি উন্নয়ন কার্যক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক বৈষম্য হয়ে থাকে। এখন থেকে এলাকাভিক্তিক কোন বৈষম্য থাকবে না। যে অঞ্চলগুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা পূর্ণবন্ঠন করছি। উন্নয়ন যাতে সুষমভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে লক্ষে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার বিকলে নীলফামারীর জলঢাকা মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান, জেলা জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফী,জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান, বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাইদ নিওন, পৌর বিএনপির সেক্রটারী মইনুল ইসলাম প্রমূখ।

  1. পরে উপদষ্টা নীলফামারী সার্কিট হাউজে শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


তিস্তার সমস্যা সমাধানে মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে- আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় : ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব আর বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এসমস্যা নিরসনে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বছরের শুরু দিকে তিস্তার পানির যে সমস্যা সেটা কিভাবে নিরসন করা যায়, একটা দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান কি হতে পার- তার জন্য গণশুনানীর আয়োজন করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা শুনব, তিস্তার সমস্যাগুলা শুনে তার প্রেক্ষিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় উত্তরবঙ্গের প্রতি যে বৈষম্য হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার সেই বৈষম্য ঘােচাতে এবং সারাদেশে যে ভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে, ঠিক একই ভাবে যাতে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়ন কার্যক্রম হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এ অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগামি একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় উৎপাদিত ফসলের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ উদ্বৃদ্ধ থাকে। এটা দিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।

এ অঞ্চলে কৃষি ভিক্তিক শিল্পের বিস্তারে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। উত্তরবঙ্গের লোকদেরকে আরো শক্তিশালি করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সংস্কার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টানকে ধ্বংস করা হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে যদি পুন:গঠন না করা হয় তাহলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে কখনোও বের হতে পারব না। তাই আমরা এইসব সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরা বলেন, আমি দেখছি উন্নয়ন কার্যক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক বৈষম্য হয়ে থাকে। এখন থেকে এলাকাভিক্তিক কোন বৈষম্য থাকবে না। যে অঞ্চলগুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা পূর্ণবন্ঠন করছি। উন্নয়ন যাতে সুষমভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে লক্ষে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার বিকলে নীলফামারীর জলঢাকা মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান, জেলা জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফী,জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান, বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাইদ নিওন, পৌর বিএনপির সেক্রটারী মইনুল ইসলাম প্রমূখ।

  1. পরে উপদষ্টা নীলফামারী সার্কিট হাউজে শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।