সৈয়দপুর ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে এলাকাবাসীর বাঁধায় সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০৪:০৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের উপকরন সামগ্রী দিয়ে সড়কটির কাজ করায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভুট্টুুর মোড় হতে বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৈালা লিপটনের বাড়ি হয়ে দুলাল মাষ্টারের বাড়ির সামন পর্যন্ত ৮ শত মিটার সড়ক পাঁকা করার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপ্রত্রের মাধ্যমে কাজটি পান নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সুজা এন্টার প্রাইজ। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে কাজটি শুরু করা হয়।

সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বক্্রকাটিং, এজিং ও সাববেজ করার কাজ করে খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কের বক্্র কাটিং করার পর ১২ ইঞ্চি বালু ফেলে পানি ছিটিয়ে প্রথমে রোলিং করে মজবুত করার নিয়ম রয়েছে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, সড়কটি সঠিক ভাবে মজবুত করা হয়নি। সড়কটিতে তড়িঘড়ি করে ১০ ইঞ্চি বালু ফেলে দায়সাড়া মজবুত করেছে। এতে করে সড়কটি দ্রæত নষ্ট হয়ে যাবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল মিয়া বলেন, বর্তমানে সড়কটির (ডাবিøউভিএম)খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের খোয়া বিছিয়ে সড়কের কাজ করছে। আমরা বাঁধা দিলে ঠিকাদার আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। বাধ্য হয়ে সবাই মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা লিপটন বলেন, শুরু থেকে ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করে চলছে। বর্তমানে সড়কটির খোয়া বিছানোর কাজ চলছে । সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার কারণে এলাকাবাসীসহ সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
সড়ক নির্মান কাজের ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি সড়কের নির্মান কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসী সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী । আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


নীলফামারীতে এলাকাবাসীর বাঁধায় সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ

আপডেট সময় : ০৪:০৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের উপকরন সামগ্রী দিয়ে সড়কটির কাজ করায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভুট্টুুর মোড় হতে বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৈালা লিপটনের বাড়ি হয়ে দুলাল মাষ্টারের বাড়ির সামন পর্যন্ত ৮ শত মিটার সড়ক পাঁকা করার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপ্রত্রের মাধ্যমে কাজটি পান নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সুজা এন্টার প্রাইজ। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে কাজটি শুরু করা হয়।

সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বক্্রকাটিং, এজিং ও সাববেজ করার কাজ করে খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কের বক্্র কাটিং করার পর ১২ ইঞ্চি বালু ফেলে পানি ছিটিয়ে প্রথমে রোলিং করে মজবুত করার নিয়ম রয়েছে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, সড়কটি সঠিক ভাবে মজবুত করা হয়নি। সড়কটিতে তড়িঘড়ি করে ১০ ইঞ্চি বালু ফেলে দায়সাড়া মজবুত করেছে। এতে করে সড়কটি দ্রæত নষ্ট হয়ে যাবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল মিয়া বলেন, বর্তমানে সড়কটির (ডাবিøউভিএম)খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের খোয়া বিছিয়ে সড়কের কাজ করছে। আমরা বাঁধা দিলে ঠিকাদার আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। বাধ্য হয়ে সবাই মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা লিপটন বলেন, শুরু থেকে ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করে চলছে। বর্তমানে সড়কটির খোয়া বিছানোর কাজ চলছে । সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার কারণে এলাকাবাসীসহ সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
সড়ক নির্মান কাজের ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি সড়কের নির্মান কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসী সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী । আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।