সৈয়দপুর ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যারা বিচার বহির্ভুত হত্যা করেছে, হাজার কোটি পাচার করেছে, গুম, খুন করেছে তাদের কিভাবে সেফ এ্যাকজিট হয় ?- রুহুল কবীর রেজভী

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদির: আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, কেউ কেউ ফ্যাসিষ্ট সরকার ও দোসরদের সেফ এ্যাকজিটের কথা বলে আইওয়াস করছেন। এক সময় তারাও তো এক সময় সরকারের উপদেষ্টা ছিল। এখনও তাঁরা সরকারে আছেন। তাহলে এই দায়িত্ব কে নেবে? যারা বিচার বহির্ভুত হত্যা করেছে, হাজার কোটি পাচার করেছে, গুম, খুন করেছে তাদের কিভাবে সেফ এ্যাকজিট হয়? অন্তবর্তী সরকার প্রধান একজন খ্যাতি সম্পন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন গুনি ব্যক্তি। তাঁর প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তার নেতৃত্বাধীন সরকার তারা ভাল কাজ করবে। এটাই আমাদের সবারই কাম্য। কারা অপরাধের সাথে যুক্ত , কারা অন্যায় করছে, কারা চাঁদাবাজী করছে তা আপনারা বলুন। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন না।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার(৯ অক্টোবর) নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাগাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি (পাগলাটারী) গ্রামে মোস্তাাকিন আলীর বসতবাড়িতে তার ৩০ বছরের স্মৃতিবিজড়িত ‘ঘানি’ পরিদর্শনকালে ও তাকে গরু কিনতে নগদ অর্থ এবং তার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ব্যাটারি চালিত দু’টি অটো ভ্যানের চাবি হস্তান্তর ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সৈয়দপুর (সাংগঠনিক) জেলায় শহীদ সাজ্জাদ হোসেন ও শহীদ নাঈম বাবু’র পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে আর্থিক অনুদান দেয়ার প্রাক্কালে এসব কথা বলেন।

তিনি নাম উল্লেখ না করে দুই একজন উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রায় প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে। যদি আপনার অন্তরের আলো থাকে, সততার আালো থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ আনলেও কোন প্রভাবই পরবে না। বেগম খালেদা জিয়ার সেভ এ্যকজিটের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ তাঁর অন্তরে আলো আছে। তাঁর বিরুদ্ধে হাজারও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই বাতাস, জল, বায়ু ও এই মাটিতেই তিনি থেকেছেন। দেশ থেকে পালাননি। কারণ তিনি দেশকে ভালবাসেন। আমরা জানি অনেক সমলোচনা হচ্ছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। জিডিপি ক্রমাগতভাবে কমছে। নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তবে অর্থনৈতিক শৃংখলাও ফিরে আসছে। শেখ হাসিনার সময় পদ্মাসেতু, ফ্লাই ওভার, বড় বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে প্রায় আটাশ লক্ষ কোটি টাকা পাঁচার করা হয়েছে। এখন সেটি বন্ধ হয়েছে। আমরা এই সরকারের কখনও নেতিবাচক কর্মকান্ডের সমলোচনা করি। আবার বিভিন্ন ইতিবাচক দিকের প্রশংসাও করি। সাবেক উপদেষ্টা উল্টাপাল্টা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমারা কোন বিভ্রান্ত চাই না। আমরা নতুন চিন্তা, নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা মানবিক কর্মকান্ডের জন্য ছুটে এসেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মানবেতর ফেরিওয়ালা তারেক রহমান জানতে পেরেছেন, কিশোরগঞ্জের এই প্রত্যন্ত এলাকায় একজন মানুষ তার স্ত্রী সহ পশুর বদলে ঘানি টানছে। আমরা কত লোক আনন্দ এবং উৎসবে কত টাকা খরচ করি। আমরা নানা অনুষ্ঠানে কত কিছু করি। কিন্তু মানুষ যদি পশুর দায়িত্ব পালন করে এটি কতবড় একটি অমানবিক বিষয়। আমরা যারা রাজনীতি করছি, বিভিন্ন পেশাজীবি, যারা ব্যবসা-বানিজ্য করি তাদের চোখে এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। একটি পরিবারের ৩০ বছর ধরে পাশবিক পরিশ্রম করার বিষয়টি কিন্তু তারেক রহমানের চোখ এড়ায়নি। তাই তিনি আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন এই অনুভুতিশীল ও মানবিক বিষয়টি এই অরাজনৈতিক প্লাটফরমের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এতে আমাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আমাদের আয়োজন হয়ত সামান্য। ওই পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো যায় কিনা এ কারণেই এমন উদ্যোগই আমরা নিয়েছি। আমরা সাড়া দেশেই জুলাই আন্দেলনে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে, শেখ হাসিনা আসার পর থেকে যেসব নেতা-কর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতন করা হয়েছে তাদেও পাশে থেকে আমরা সাহায্য করার চেষ্ঠা করেছি।

মানবিক এই কর্মসূচিতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি ও সংগঠনটির সদস্য মাসুদ রানা লিটন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, সৈয়দপুর (সাংগঠনিক) জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার, কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তাজুল সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


যারা বিচার বহির্ভুত হত্যা করেছে, হাজার কোটি পাচার করেছে, গুম, খুন করেছে তাদের কিভাবে সেফ এ্যাকজিট হয় ?- রুহুল কবীর রেজভী

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ফজল কাদির: আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, কেউ কেউ ফ্যাসিষ্ট সরকার ও দোসরদের সেফ এ্যাকজিটের কথা বলে আইওয়াস করছেন। এক সময় তারাও তো এক সময় সরকারের উপদেষ্টা ছিল। এখনও তাঁরা সরকারে আছেন। তাহলে এই দায়িত্ব কে নেবে? যারা বিচার বহির্ভুত হত্যা করেছে, হাজার কোটি পাচার করেছে, গুম, খুন করেছে তাদের কিভাবে সেফ এ্যাকজিট হয়? অন্তবর্তী সরকার প্রধান একজন খ্যাতি সম্পন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন গুনি ব্যক্তি। তাঁর প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তার নেতৃত্বাধীন সরকার তারা ভাল কাজ করবে। এটাই আমাদের সবারই কাম্য। কারা অপরাধের সাথে যুক্ত , কারা অন্যায় করছে, কারা চাঁদাবাজী করছে তা আপনারা বলুন। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন না।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার(৯ অক্টোবর) নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাগাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি (পাগলাটারী) গ্রামে মোস্তাাকিন আলীর বসতবাড়িতে তার ৩০ বছরের স্মৃতিবিজড়িত ‘ঘানি’ পরিদর্শনকালে ও তাকে গরু কিনতে নগদ অর্থ এবং তার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ব্যাটারি চালিত দু’টি অটো ভ্যানের চাবি হস্তান্তর ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সৈয়দপুর (সাংগঠনিক) জেলায় শহীদ সাজ্জাদ হোসেন ও শহীদ নাঈম বাবু’র পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে আর্থিক অনুদান দেয়ার প্রাক্কালে এসব কথা বলেন।

তিনি নাম উল্লেখ না করে দুই একজন উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রায় প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে। যদি আপনার অন্তরের আলো থাকে, সততার আালো থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ আনলেও কোন প্রভাবই পরবে না। বেগম খালেদা জিয়ার সেভ এ্যকজিটের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ তাঁর অন্তরে আলো আছে। তাঁর বিরুদ্ধে হাজারও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই বাতাস, জল, বায়ু ও এই মাটিতেই তিনি থেকেছেন। দেশ থেকে পালাননি। কারণ তিনি দেশকে ভালবাসেন। আমরা জানি অনেক সমলোচনা হচ্ছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। জিডিপি ক্রমাগতভাবে কমছে। নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তবে অর্থনৈতিক শৃংখলাও ফিরে আসছে। শেখ হাসিনার সময় পদ্মাসেতু, ফ্লাই ওভার, বড় বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে প্রায় আটাশ লক্ষ কোটি টাকা পাঁচার করা হয়েছে। এখন সেটি বন্ধ হয়েছে। আমরা এই সরকারের কখনও নেতিবাচক কর্মকান্ডের সমলোচনা করি। আবার বিভিন্ন ইতিবাচক দিকের প্রশংসাও করি। সাবেক উপদেষ্টা উল্টাপাল্টা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমারা কোন বিভ্রান্ত চাই না। আমরা নতুন চিন্তা, নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা মানবিক কর্মকান্ডের জন্য ছুটে এসেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মানবেতর ফেরিওয়ালা তারেক রহমান জানতে পেরেছেন, কিশোরগঞ্জের এই প্রত্যন্ত এলাকায় একজন মানুষ তার স্ত্রী সহ পশুর বদলে ঘানি টানছে। আমরা কত লোক আনন্দ এবং উৎসবে কত টাকা খরচ করি। আমরা নানা অনুষ্ঠানে কত কিছু করি। কিন্তু মানুষ যদি পশুর দায়িত্ব পালন করে এটি কতবড় একটি অমানবিক বিষয়। আমরা যারা রাজনীতি করছি, বিভিন্ন পেশাজীবি, যারা ব্যবসা-বানিজ্য করি তাদের চোখে এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। একটি পরিবারের ৩০ বছর ধরে পাশবিক পরিশ্রম করার বিষয়টি কিন্তু তারেক রহমানের চোখ এড়ায়নি। তাই তিনি আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন এই অনুভুতিশীল ও মানবিক বিষয়টি এই অরাজনৈতিক প্লাটফরমের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এতে আমাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আমাদের আয়োজন হয়ত সামান্য। ওই পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো যায় কিনা এ কারণেই এমন উদ্যোগই আমরা নিয়েছি। আমরা সাড়া দেশেই জুলাই আন্দেলনে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে, শেখ হাসিনা আসার পর থেকে যেসব নেতা-কর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতন করা হয়েছে তাদেও পাশে থেকে আমরা সাহায্য করার চেষ্ঠা করেছি।

মানবিক এই কর্মসূচিতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি ও সংগঠনটির সদস্য মাসুদ রানা লিটন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, সৈয়দপুর (সাংগঠনিক) জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার, কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তাজুল সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা।