সৈয়দপুরের মাটিতে বিদেশি ব্লাক ধান
- আপডেট সময় : ০১:১৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে ব্ল্যাক রাইস। যার প্রতি কেজি চালের মূল্য ৮শ টাকা সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের চাষি মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু (৩৬) পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন। প্রথমে তিনি ২২ শতকের জমিতে এ ধান চাষ করে আশার আলো দেখছেন।
এদিকে, এ ধানকে নিষিদ্ধ ব্লাক রাইসও বলা হয়। কারণ এক সময় চীনের রাজা-বাদশাদের খাবার ছিল ব্ল্যাক রাইস। যা প্রজাদের জন্য চাষ করা বা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এ কারণে একে নিষিদ্ধ চাল বলা হয়।
এদিকে, ধানগাছ প্রথম সবুজ থাকলেও, ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই কালো হতে শুরু করে। খুব দামি, পুষ্টিগুণে ভরপুর।
এ ধানে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিজেন থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করে ও শরীর হতে দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে ফুরফুরে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। কালো চাল ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক। এ কালো ধানের চাষ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে
ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। এমন একটি ধান সৈয়দপুরে প্রথম কাজ করতে পেরে আনন্দের যেন কমতি নেই কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবুর
কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে আমি এ ব্ল্যাক রাইস সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর চট্রগ্রাম থেকে ধানের বীজ এনে বপন করি। ৫০০ গ্রাম ধান এক হাজার টাকা নেয়। ১ কেজি চালের মূল্য ৮০০ টাকা। ধানের ফলন ভালো, সময় অল্পতেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। এজন্য আশার আলো দেখছি আমি।’







.gif)








