সৈয়দপুর ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনুমোদনহীন পার্কের আড়ালে টিন এজারদের অনৈতিক কাজ

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদির: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অনুমোদনহীন পার্কের আড়ালে চলছে টিন এজারদের অনৈতিক কাজ। এ পার্কের দর্শনার্থী হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এলাকায় ছেলে মেয়েদের অনৈতিক কাজের অভয়ারোণ্য এই পার্কটি বন্ধের জোড় দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের সোনাকুড়ি অবিলের বাজারে রংপুর-জলঢাকা মিনি মহাসড়কের পাশে বৈধ কোন কাগপত্র ছাড়াই তৈরি করেছেন হ্যাপী প্যালেস মিনি পার্ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লতা-পাতা ও প্রজাতির ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে পার্কটি। পার্কের ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট খড়ের ঝুপড়ি ঘর। ঘরগুলো চারদিকে ঢেকে দেয়া হয়েছে ফুলের ডালপালা দিয়ে। দেখতে ঠিক চড়ুই পাখির বাসার মত। প্রতিটি ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। টিন এজার ছেলে-মেয়েগুলো সবাই অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে কেউ এসেছেন প্রেমিকের সঙ্গে, কেউ বন্ধুর সঙ্গে। এদের মধ্যে নবম শ্রেণির এক মেয়ে শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার বন্ধু তাকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে এসে তাকে জোড় করে অসামাজিক কাজ করার চেষ্টা করছিল। তিনি পার্কের মালিক ওয়াজিদ রহমানকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। কিন্তু পার্কের মালিক উল্টো তাকে সিসি ক্যামেরার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখান।

পার্ক সংলগ্ন কাঠ ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের আক্ষেপ করে বলেন, যারাই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এখানে এসেছেন সবাই ম্যনেজ হয়ে গেছেন। আপনারা যদি এই নোংরামি বন্ধের জন্য লেখালেখি করেন তাহলে পুণ্যের কাজ করবেন। দিনরাত এই নোংরামি আর দেখতে পাচ্ছি না। তার মত অনেকে পার্কটি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন ফল পায়নি। ৫ শতক জমির উপর কোন সংশ্লিষ্ট মন্ত্র্রনালয়ের লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে চলছে ৩০ টাকা প্রবেশেধিকার মুল্য দিয়ে অনৈতিক কাজ। পার্ক মালিক ওয়াজিদ রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পার্কে শুধু শিশুদের বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করা আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স করেছি। ডিসি স্যারকে একটা আবেদন দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। আমি সোর্স লাগিয়েছি। অসামাজিক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


অনুমোদনহীন পার্কের আড়ালে টিন এজারদের অনৈতিক কাজ

আপডেট সময় : ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ফজল কাদির: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অনুমোদনহীন পার্কের আড়ালে চলছে টিন এজারদের অনৈতিক কাজ। এ পার্কের দর্শনার্থী হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এলাকায় ছেলে মেয়েদের অনৈতিক কাজের অভয়ারোণ্য এই পার্কটি বন্ধের জোড় দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের সোনাকুড়ি অবিলের বাজারে রংপুর-জলঢাকা মিনি মহাসড়কের পাশে বৈধ কোন কাগপত্র ছাড়াই তৈরি করেছেন হ্যাপী প্যালেস মিনি পার্ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লতা-পাতা ও প্রজাতির ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে পার্কটি। পার্কের ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট খড়ের ঝুপড়ি ঘর। ঘরগুলো চারদিকে ঢেকে দেয়া হয়েছে ফুলের ডালপালা দিয়ে। দেখতে ঠিক চড়ুই পাখির বাসার মত। প্রতিটি ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। টিন এজার ছেলে-মেয়েগুলো সবাই অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে কেউ এসেছেন প্রেমিকের সঙ্গে, কেউ বন্ধুর সঙ্গে। এদের মধ্যে নবম শ্রেণির এক মেয়ে শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার বন্ধু তাকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে এসে তাকে জোড় করে অসামাজিক কাজ করার চেষ্টা করছিল। তিনি পার্কের মালিক ওয়াজিদ রহমানকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। কিন্তু পার্কের মালিক উল্টো তাকে সিসি ক্যামেরার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখান।

পার্ক সংলগ্ন কাঠ ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের আক্ষেপ করে বলেন, যারাই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এখানে এসেছেন সবাই ম্যনেজ হয়ে গেছেন। আপনারা যদি এই নোংরামি বন্ধের জন্য লেখালেখি করেন তাহলে পুণ্যের কাজ করবেন। দিনরাত এই নোংরামি আর দেখতে পাচ্ছি না। তার মত অনেকে পার্কটি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন ফল পায়নি। ৫ শতক জমির উপর কোন সংশ্লিষ্ট মন্ত্র্রনালয়ের লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে চলছে ৩০ টাকা প্রবেশেধিকার মুল্য দিয়ে অনৈতিক কাজ। পার্ক মালিক ওয়াজিদ রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পার্কে শুধু শিশুদের বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করা আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স করেছি। ডিসি স্যারকে একটা আবেদন দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে। আমি সোর্স লাগিয়েছি। অসামাজিক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।