সৈয়দপুর ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের আর কোন জোট নেইঃ জি এম কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের বলেন, এ সরকার আজ জনবিচ্ছিন্ন। আর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে। নীল নকশার ইভিএম দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শাসকের ভূমিকায় আওয়ামী লীগ। তাই তাদের সাথে জোটে জাতীয় পার্টি আর নাই।

সোমবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার পথে সৈয়দপুর সেনানিবাস সংলগ্ন সিএসডি মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পথসভায় উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জিএম কাদের বলেন, সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শোষণ ব্যবস্থা কায়েম করেছে। ফলে জনগণ চরম দূরাবস্থায় পতিত হয়েছে। একারনেই আজ দেশের মানুষ তাদের প্রতি অত্যন্ত বিতৃষ্ণ। আমরা সবসময় জনগণের পক্ষে।আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের আর কোন জোট নেই।

জি এম কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে একেবারে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান সিইসিসহ সকল কমিশনারই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। বরং তারা সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করে ইভিএম নিয়ে ব্যস্ত। বস্তুত তারা সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছেন। তাই এই ইসি’র অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।

জিএম কাদের বলেন, ইভিএম হচ্ছে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যম। এ কারনে অনেক উন্নত দেশও ইভিএম বর্জন করে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন করে। জনগণ একটা অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই জনগণের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে আমরাও ইভিএম নয় ব্যালটে নির্বাচন চাই।

এর আগে তিনি আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে শত শত নেতাকর্মী তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তাঁর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের এমপি আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মেহেজেবুন্নেসা রহমান টুম্পা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আদনান রহমান।

অন্যদের মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বাবলা, রংপুর মহানগর জাপা’র সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিব খান, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক এন কে আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব সাজ্জাদ পারভেজ, সৈয়দপুর উপজেলা আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম, সদস্য সচিব জিএম কবির মিঠু, পৌর আহ্বায়ক কাজী ময়নুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা আলতাফ হোসেন, মাহেদুল খান রক্সি প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের আর কোন জোট নেইঃ জি এম কাদের

আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের বলেন, এ সরকার আজ জনবিচ্ছিন্ন। আর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে। নীল নকশার ইভিএম দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শাসকের ভূমিকায় আওয়ামী লীগ। তাই তাদের সাথে জোটে জাতীয় পার্টি আর নাই।

সোমবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার পথে সৈয়দপুর সেনানিবাস সংলগ্ন সিএসডি মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পথসভায় উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জিএম কাদের বলেন, সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শোষণ ব্যবস্থা কায়েম করেছে। ফলে জনগণ চরম দূরাবস্থায় পতিত হয়েছে। একারনেই আজ দেশের মানুষ তাদের প্রতি অত্যন্ত বিতৃষ্ণ। আমরা সবসময় জনগণের পক্ষে।আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের আর কোন জোট নেই।

জি এম কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে একেবারে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান সিইসিসহ সকল কমিশনারই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। বরং তারা সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করে ইভিএম নিয়ে ব্যস্ত। বস্তুত তারা সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছেন। তাই এই ইসি’র অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।

জিএম কাদের বলেন, ইভিএম হচ্ছে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যম। এ কারনে অনেক উন্নত দেশও ইভিএম বর্জন করে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন করে। জনগণ একটা অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই জনগণের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে আমরাও ইভিএম নয় ব্যালটে নির্বাচন চাই।

এর আগে তিনি আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে শত শত নেতাকর্মী তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তাঁর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের এমপি আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মেহেজেবুন্নেসা রহমান টুম্পা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আদনান রহমান।

অন্যদের মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বাবলা, রংপুর মহানগর জাপা’র সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিব খান, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক এন কে আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব সাজ্জাদ পারভেজ, সৈয়দপুর উপজেলা আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম, সদস্য সচিব জিএম কবির মিঠু, পৌর আহ্বায়ক কাজী ময়নুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা আলতাফ হোসেন, মাহেদুল খান রক্সি প্রমূখ।