কিশোরগঞ্জে এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ভাতা উত্তোলন হয় দু’স্থানে, তদন্ত কমিটি গঠন

- আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে ভাতা উত্তোলন হয় দু’স্থানে। পৃথক দুটি ব্যাংক থেকে প্রতিমাসে স্ত্রী উত্তোলন করেন ২০ হাজার টাকা ও মেয়ে উত্তোলন করেন ৩০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শরীফ হাসানকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা আলুপাড়া গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আলী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করে রণাঙ্গনে শহীদ হন। যার বেসামরিক গেজেট নম্বর ১৭৩, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ৩১৫০৩০০৩৯। সরকার মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে ভাতা চালু করলে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আলীর বিধবা স্ত্রী বুলবুলি বেওয়া ভাতার তালিকায় অন্তভুক্ত হন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার বর্ধিত ভাতা হিসাবে বর্তমানে ২০ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে উত্তোলন করছিলেন। যার হিসাব নম্বর ৫৩০৭৪০১০২৩৪৭৩ ।
অপর দিকে বুলবুলি বেওয়ার মেয়ে আরজিনা বেগম মাকে মৃত্যু দেখিয়ে কাগজপত্র জালিয়াতি করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নীলফামারী অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার করে টাকা নিয়মিত উত্তোলন করছেন। যার হিসাব নম্বর০২০০০১৮২১১৮৯৬।
এ ব্যাপারে বুলবুলি বেওয়ার মেয়ে আরজিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অকপটে ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধা আমার কাছে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে এ ধরণের জালিয়াতি কাজ করে দিয়েছেন এবং ভাতা উত্তোলনের পর প্রতিমাসে ৫শ’ করে টাকা তাকে দিতে হয়। আপনারা যদি পারেন আমার ভাতাটি বন্ধ করে দেন। আমি আর এ ভাতা নিতে চাইনা। তবে আরজিনা বেগমের ব্যাংক হিসাব নম্বরে দেখা যায় তাঁর নামে ১০ লাখ টাকা লোনসহ ৩৮ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন।
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আলীর স্ত্রী বিধবা বুলবুলি বেওয়া বলেন, আমার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন। ভাতার ন্যয্য দাবিদার আমি। অথচ যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভাতা ভোগ করছে তাঁর ভাতা বন্ধ না করে আমার ভাতা বন্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শরীফ হাসানকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাথে সাময়িকভাবে বুলবুলি বেওয়ার ভাতা স্থগিত করা হয়েছে।