প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২, ২০২৫, ২:০৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ৩:২৬ এ.এম
খানসামায় গ্রীষ্মের পেঁয়াজ চাষে ৩৬০ কৃষকের সফলতা

খোঁজ নিয়ে জানা যায় , দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ এখন দেশে গ্রীষ্মকালেও এ পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে ৩৬০ জন কৃষক নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। একই সাথে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য প্রতি কৃষককে বীজ, সার, পলিথিন ও পরিচর্যা বাবদ ২৮০০ টাকা করে খরচ প্রদান করা হয়। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন ছুটছে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে। বর্তমানে এ জাতের পেঁয়াজ চাষের সফলতার কথা উঠে এসেছে চাষিদের নিকট থেকেও।
খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের কৃষক নুরল ইসলাম জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ৯০-১১০ দিনে মধ্যে এ পেঁয়াজ বিঘায় ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ৩৫-৪০ টাকা। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন এ নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ. ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজগুলো অনেক বড় আকৃতির। ৪/৫টি পেঁয়াজের ওজন এক কেজি। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী বছর এর চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরণের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করেছিল। যার ফলে কৃষকরা এ পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। এতে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।
Copyright © 2025 চোখ২৪.নেট. All rights reserved.