ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

- আপডেট সময় : ০২:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ফজল কাদির, নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছে এক ভুক্তভাগী প্রধান শিক্ষক। ইউএনও কর্তৃক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে অবৈধভাবে বরখাস্তের আদশ স্থগিত চেয়ে হাইকার্ট এ রিট দায়ের করেন। রিট পিটিশন নং-২০৫/২০২৫।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০০০ সালের ১৭ জুলাই জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ময়বুল ইসলাম। ২০০৬ সালে যথারীতি এমপিও ভুক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দায়িত্ব পালনকাল গত ২০২২ সালে স্থানীয় হবিবর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম ওই প্রধান শিক্ষক
কের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত-৫ (ডোমার) একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই গ্রেফতার হন প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম। এরপর ওই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিও পান।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলামের অভিযাগ, আমলী আদালতে দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর একই অভিযাগে ০৫/০৯/২৪ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করে ১০ কার্য দিবসের মধ্য জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ইউএনও। নোটিশের জবাব নেয়ার অপক্ষা না করেই মাধ্যমিক ও উচ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই বিধিবহির্ভুত ভাবে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টম্বর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বিপিএএ। এরপর গত বছরর ২০ নভেম্বর স্থায়ীভাবে চাকুরীচ্যুত করে ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ তাকে নোটিশ প্রদান করেন। আদালতের নিস্পত্তিকৃত বিষয়কে নুতন করে ইউএনও কর্তৃক বিচারের আওতায় আনা ও শাস্তি দেয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে প্রধান শিক্ষক দাবী করেন।
গত ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশের যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ থেকে অব্যাহতি ও জারিকৃত বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সভাপতির বরাবর আবেদন করেও কোন ফল পাননি ভুক্তভাগী। ২০২৪ সালের সেপ্টম্বর থেকে বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করেন ভুক্তভাগী ওই প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার যোগাযাগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ব্যাপার নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান জানান, এভাবে বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে উচ্চ আদালতের যে কোন সিদ্ধান্তই আমরা মেনে নেব।