সৈয়দপুর ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় পৌঁছেছেন স্যার ফিলিপ বার্টন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইক‌মিশ‌নের এক কর্মকর্তা। তি‌নি জানান, পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি আজ সকা‌লে ঢাকায় এসেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারের সংলাপে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন ও ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন। এই সংলাপে গুরুত্ব পাবে বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, উন্নয়ন সহায়তা, সুশাসন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, শান্তিরক্ষা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়। নির্বাচনের আগে সংলাপটি হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং মানবাধিকার নিয়েও কথা বলবে যুক্তরাজ্য।

প্রায় দুই বছর পর ঢাকা লন্ডন কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডনে চতুর্থ অংশীদারত্ব সংলাপে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংলাপে এক দেশে বসে অন্য দেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সম্মত হয়েছিল। পাশাপাশি বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও ঢাকা-লন্ডন একমত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে ব্রিটিশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল সরকার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দীন পলাতক থাকায় তার দণ্ড কার্যকর করা যায়নি। তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বলে ধারণা বাংলাদেশের। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিছু নাগরিক সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি সই হলে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে জড়িত ব্যক্তিদের এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


ঢাকায় পৌঁছেছেন স্যার ফিলিপ বার্টন

আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইক‌মিশ‌নের এক কর্মকর্তা। তি‌নি জানান, পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি আজ সকা‌লে ঢাকায় এসেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারের সংলাপে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন ও ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন। এই সংলাপে গুরুত্ব পাবে বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, উন্নয়ন সহায়তা, সুশাসন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, শান্তিরক্ষা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়। নির্বাচনের আগে সংলাপটি হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং মানবাধিকার নিয়েও কথা বলবে যুক্তরাজ্য।

প্রায় দুই বছর পর ঢাকা লন্ডন কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডনে চতুর্থ অংশীদারত্ব সংলাপে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংলাপে এক দেশে বসে অন্য দেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সম্মত হয়েছিল। পাশাপাশি বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও ঢাকা-লন্ডন একমত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে ব্রিটিশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল সরকার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দীন পলাতক থাকায় তার দণ্ড কার্যকর করা যায়নি। তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বলে ধারণা বাংলাদেশের। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিছু নাগরিক সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দিবিনিময় ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি সই হলে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে জড়িত ব্যক্তিদের এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে।