নীলফামারীতে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষে ব্যাহত: দ্বি-চারা করতে পারছে না কৃষক

- আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

ফজল কাদির: আষাঢ় মাস শেষেও নীলফামারীতে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। এতে করে খরিফ-২ মৌসুমের আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নীচু জমির জন্য দ্বি-চারাও (স্থানীয় ভাষায় বলান) করতে পারছে না কৃষক। মাঠে পানি না থাকার কারনে অনেক খরচ করে দ্বি-চারা করতে হচ্ছে।
দীর্ঘ চার মাস থেকে খড়ায় পুঁড়ছে নীলফামারী। মাঝে-মধ্যে ছিটে-ফোটা বৃষ্টি নামলেও মাটি ভালো মতো ভিজছে না। আমনের জমি খাঁ খাঁ করছে। নীচু জমিতে আমন রোপনের জন্য দ্বি-চারা করা প্রয়োজন। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা অনেক খরচ করে সেচ দিয়ে দ্বি-চারা করছেন। খরিপ-২ মৌসুমের আমন ধান চাষ সম্পূর্ণ বৃষ্টির পানি নির্ভর। বাড়তি সেচ ছাড়াই আমন ধান চাষ করে তারা গোলায় তুলে। ফলে খুশি হয়েই কৃষকরা নবান্ন উৎসব করে।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এবারে আমন মৌসুমে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে, ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯ শত ২০ মেট্রিক টন। জমির লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে, ১ লাখ ১৩ হাজার ২ শত ২০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে, মাত্র ৫ শত ৫৭ হেক্টর। চলতি বছরের মার্চ মাসে মাত্র ৩ মিলিমিটার, এপ্রিল মাসে ১ শত ৩০ মিলিমিটার, মে মাসে ৩ শত ২৬ মিটিমিটার, জুন মাসে ৩ শত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের কান রেকর্ড নেই।
নীলফামারী সদর উপজেলার কঢ়ুকাটা ইউনিয়নের মানুষগড়া গ্রামের কৃষক সাফিউল বলেন, চারার বয়স সাধরণত ২৫ থক ৩০ দিন বয়স হলেই আমন রোপন করতে হয়। আমার চারার বয়স ৩৫ দিন পার হলেও অনাবৃষ্টির কারনে আমন রোপন করতে পারিনি।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমন চাষ শুরু হয় ১৬ জুলাই থেকে। নীলফামারীর অধিকাংশ কৃষক, আগাম আলু চাষ করেন। এ কারনেই অনকেই হাইব্রীড জাত ও উপশি জাতর পাশাপাশি আমনের চারা আগাম করে থাকেন। এখনও সময় আছে। ক্লাইমেট পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে, সেচের মাধ্যম দ্রুত আমন চাষ করতে হবে। সেক্ষেতে জেলার আলু চাষী কৃষক ভাইরা আমন গোলায় তুলে আগাম আলু রোপন করতে পারবে। আসমানের পানিতে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। বৃষ্টি নামলে আমন ক্ষেত সবুজে ভরে যাবে।