সৈয়দপুর ০৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে আগাম জাতের আলু চাষে ধুম

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতিবারের মত এবারও অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষে ধুম পরেছে। রংপুর বিভাগের মধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা প্রথম আলু রোপন করে অধিক মুনাফা ঘরে তোলে আলু চাষীরা। মাস ব্যাপি আগাম জাতের হাইব্রিড চায়না ধান বিক্রির পর ওই জমিতেই আগাম আলুর বীজ রোপন করছেন তারা।

দেখা যায়, বেশ ধুম-ধাম করে পরিত্যাক্ত কিংবা সদ্য কাটা আমন ধানের জমি প্রস্তুত করছে আলু চাষের জন্য । বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে এ অঞ্চলে আগাম আলু রোপণ করে।

রণচন্ডি ইউপির কুটিপাড়া গ্রামের আলুচাষি আব্দুল হাকিম জানান, আগাম ধান কেটে আগাম আলু বুনছি। যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত বেশি লাভবান হবেন। আগেভাগে আলু উত্তোলন করতে পারলে ৮০থেকে ৯০ টাকা কেজি বাজার ধরতে পারব। অল্প সময়ে আলু ছাড়া অন্যকোন ফসলে এত লাভবানও হওয়া যায়না। গত বছর ধান কাটার পর সেই জমির চাষাবাদকৃত আলু ক্ষেতে ৭৮টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বিঘায় লাভ করেছি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তাই এবার ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করছি।

কৃষক আব্দুল আজিজ ড্যামসা মিয়া জানান, এ অঞ্চলের জমিগুলোএকদম উচু এবং বালু মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোন ভয় থাকেনা। আর পাশেই ধাইজান নদী থাকায় জমির পানি সহজে নেমে যায়। তাই আগেভাগে দিগুন লাভের আশায় আগাম আলু বুনছি।
বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলুচাষি মোঃ লাল বাবু বলেন ,গত বছর ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকা লাভ করেছিলাম। তাই এবারো দ্বিগুন লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, চলতি বছর ৬হাজার ৭৮০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উঁচুজমিতে আলুচাষে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে লাগানোর কথা বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০হাজার মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গড় বাজার ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে ৪শ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।এ বছরো ভাল মুল্য পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন।মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকে বাজার মূল্য থাকে চড়া তাই কৃষকের লাভ হয় বেশি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা যে আলু চাষ করে থাকেন তা রোপন থেকে শুরু করে উত্তোলন করা পর্যন্ত ৫৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :




নীলফামারীতে আগাম জাতের আলু চাষে ধুম

আপডেট সময় : ০১:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতিবারের মত এবারও অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষে ধুম পরেছে। রংপুর বিভাগের মধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা প্রথম আলু রোপন করে অধিক মুনাফা ঘরে তোলে আলু চাষীরা। মাস ব্যাপি আগাম জাতের হাইব্রিড চায়না ধান বিক্রির পর ওই জমিতেই আগাম আলুর বীজ রোপন করছেন তারা।

দেখা যায়, বেশ ধুম-ধাম করে পরিত্যাক্ত কিংবা সদ্য কাটা আমন ধানের জমি প্রস্তুত করছে আলু চাষের জন্য । বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে এ অঞ্চলে আগাম আলু রোপণ করে।

রণচন্ডি ইউপির কুটিপাড়া গ্রামের আলুচাষি আব্দুল হাকিম জানান, আগাম ধান কেটে আগাম আলু বুনছি। যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত বেশি লাভবান হবেন। আগেভাগে আলু উত্তোলন করতে পারলে ৮০থেকে ৯০ টাকা কেজি বাজার ধরতে পারব। অল্প সময়ে আলু ছাড়া অন্যকোন ফসলে এত লাভবানও হওয়া যায়না। গত বছর ধান কাটার পর সেই জমির চাষাবাদকৃত আলু ক্ষেতে ৭৮টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বিঘায় লাভ করেছি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তাই এবার ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করছি।

কৃষক আব্দুল আজিজ ড্যামসা মিয়া জানান, এ অঞ্চলের জমিগুলোএকদম উচু এবং বালু মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোন ভয় থাকেনা। আর পাশেই ধাইজান নদী থাকায় জমির পানি সহজে নেমে যায়। তাই আগেভাগে দিগুন লাভের আশায় আগাম আলু বুনছি।
বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলুচাষি মোঃ লাল বাবু বলেন ,গত বছর ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকা লাভ করেছিলাম। তাই এবারো দ্বিগুন লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, চলতি বছর ৬হাজার ৭৮০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উঁচুজমিতে আলুচাষে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে লাগানোর কথা বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০হাজার মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গড় বাজার ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে ৪শ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।এ বছরো ভাল মুল্য পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন।মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকে বাজার মূল্য থাকে চড়া তাই কৃষকের লাভ হয় বেশি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা যে আলু চাষ করে থাকেন তা রোপন থেকে শুরু করে উত্তোলন করা পর্যন্ত ৫৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে।