সৈয়দপুর ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে আড়াই কেজি চালেও মিলছে না এক কেজি আলুর বীজ

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০২:১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২৩২ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীতে আড়াই কেজি চালেও মিলছে না এক কেজি আলুর বীজ। ১০ থেকে ১৫ দিনের গজানো আলু বীজের দাম সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা। গজানো আলুর বাজার চড়া হওয়ার কারণে প্রান্তিক কৃষকরা মাঠ চাষ করেও আলু রোপন করতে পারছেন না।

নীলফামারীর ৬টি উপজেলায় হাইব্রীড জাতের চালের মুল্য পয়তাল্লিশ টাকা। বর্তমান মুল্যে আড়াই কেজি চাল বিক্রি করে এক কেজি আলুর বীজও পাওয়া যাচ্ছে না। আলুর চড়া মুল্যের কারণে প্রান্তিক চাষীরা আলু রোপনের জন্য জমি চাষ করে স্বপ্ন দেখেছিল লাভের মুখ দেখার জন্য। কিন্তু হটাৎ আলু বীজের দাম উর্ধমুখি হওয়ায় ওই প্রান্তিক চাষীদের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা গ্রামের আনছার আলী বলেন, ‘ আমি দুই বিঘা চাষ করেছিলাম আলু রোপনের জন্য। কিন্তু আলু বীজের চড়া হওয়ার কারণে এখন সরিষা লাগানের কথা ভাবছি। তিনি আরো বলেন, এক সময় সরকারই বলত ভাতের অভাব পুুরণের জন্য বেশী বেশী আলু খান। এখন তো আলুর দাম নাগালের বাইরে। আর দশ থেকে পনের দিনের গজানো আলু বীজের দাম ১২০ টাকা। সবজির অভাব পূরণ করতে আলু কেনাই মুশকিল।

জলঢাকা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তা হিমাগারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সৈয়দ আলী বলেন, আমার দুইটি হিমাগারের আলু সংরক্ষণ ক্যাপাসিটি ৩ লাখ ৪০ হাজার বস্তা(৫০কেজি)। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার বস্তা ঘাটতি ছিল। এই পরিস্থিতি জেলার সকল হিমাগারে হয়েছে।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকার কারণে আলুর বাম্পার ফলন হয়নি। আলু সংকটের কারণে বীজ আলুর দাম চড়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


নীলফামারীতে আড়াই কেজি চালেও মিলছে না এক কেজি আলুর বীজ

আপডেট সময় : ০২:১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীতে আড়াই কেজি চালেও মিলছে না এক কেজি আলুর বীজ। ১০ থেকে ১৫ দিনের গজানো আলু বীজের দাম সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা। গজানো আলুর বাজার চড়া হওয়ার কারণে প্রান্তিক কৃষকরা মাঠ চাষ করেও আলু রোপন করতে পারছেন না।

নীলফামারীর ৬টি উপজেলায় হাইব্রীড জাতের চালের মুল্য পয়তাল্লিশ টাকা। বর্তমান মুল্যে আড়াই কেজি চাল বিক্রি করে এক কেজি আলুর বীজও পাওয়া যাচ্ছে না। আলুর চড়া মুল্যের কারণে প্রান্তিক চাষীরা আলু রোপনের জন্য জমি চাষ করে স্বপ্ন দেখেছিল লাভের মুখ দেখার জন্য। কিন্তু হটাৎ আলু বীজের দাম উর্ধমুখি হওয়ায় ওই প্রান্তিক চাষীদের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা গ্রামের আনছার আলী বলেন, ‘ আমি দুই বিঘা চাষ করেছিলাম আলু রোপনের জন্য। কিন্তু আলু বীজের চড়া হওয়ার কারণে এখন সরিষা লাগানের কথা ভাবছি। তিনি আরো বলেন, এক সময় সরকারই বলত ভাতের অভাব পুুরণের জন্য বেশী বেশী আলু খান। এখন তো আলুর দাম নাগালের বাইরে। আর দশ থেকে পনের দিনের গজানো আলু বীজের দাম ১২০ টাকা। সবজির অভাব পূরণ করতে আলু কেনাই মুশকিল।

জলঢাকা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তা হিমাগারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সৈয়দ আলী বলেন, আমার দুইটি হিমাগারের আলু সংরক্ষণ ক্যাপাসিটি ৩ লাখ ৪০ হাজার বস্তা(৫০কেজি)। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার বস্তা ঘাটতি ছিল। এই পরিস্থিতি জেলার সকল হিমাগারে হয়েছে।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকার কারণে আলুর বাম্পার ফলন হয়নি। আলু সংকটের কারণে বীজ আলুর দাম চড়া হয়েছে।