ফজল কাদির: নীলফামারীর গোলনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদ আলীকে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার দুপুরে গোলনা এলাকায় মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয় উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ জাহেদ আলী। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়েন তিনি।
চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পরিষদের কোন সভা আহবান না করে এমনকি কোন সদস্যের মতামত না নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত পরিষদ পরিচালনা করছেন। দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার কেউ সাহস পায়নি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন জাহেদ আলী। পলাতক থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
গোলনা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, সরকারী ফি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও গাফিলতি, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, গ্রাম আদালত পরিচালনায় অনিহা ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিচার শালিষের নামে দলীয় ক্যাডার দ্বারা ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির তালিকা প্রণয়নে নিজস্ব চিহিৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
মানববন্ধন শেষে মার্চ টু জলঢাকা নির্বাহী অফিসে এসে শেষ হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, ওবায়দুল ইসলাম জাহানুর ইসলাম ও সরাফত আলী সরু এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী পাপন, লিমন, লিজু, মুন্না উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।