ফজল কাদির: সপ্তাহ ধরে শৈত্য প্রবাহ আর কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর জনজীবন। সেই সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারনে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এ জেলার দরিদ্র মানুষজন। মেঘলা আকাশ আর কুয়াশার কারনে ৫দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি এই জেলায়। গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারনে কাছের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন বাহিরে বের হতে না পেরে পড়েছেন দুর্ভোগে।
শীত বাড়ায় আলু চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আলুর মড়ক রোধে ঔষধ প্রয়োগ করতে হচ্ছে চাষিদের। এতে করে আলু চাষে খরচ বাড়ছে বেশী।
তীব্র শীতে মানুষজনের পাশাপাশি গবাদি পশুও যবুথবু হয় পড়েছে। চট গায়ে দিয়ে দিনভর ঘরের ভিতরে রাখতে হচ্ছে গবাদি পশু।হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে জন সমাগম কমে গেছে।
বিশেষ করে ডিমলা উপজলার তিস্তা নদীর কোল ঘেষা গ্রাম ও চরের মানুষজন সবচেয়ে বশী বেকায়দায় পড়েছেন। শীতের তীব্রতার কারনে জ্বর,সর্দি ও কাশিসহ শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব বাড়ছে। সবচয় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
এ দিকে ঘন কুয়াশার কারণ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যহত হচ্ছে বল জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসর ইনচার্জ লোকমান হাসান জানান, শনিবার (১৩/০১/২৪) নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।