নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ঝড়েপড়া রোধ ও নিয়মিত স্কুলমুখী করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি রবিবার(২৮ ডিসেম্বর)থেকে চালু হয়েছে। বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ ইমরুল মোজাক্কিন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া।
জলঢাকা মেধাকুঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুস ছামাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ পারুলী আক্তার, ইএসডিও’ প্ল্যান ফান্ডেড প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল মান্নান, মেধাকুঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন চৌধুরী প্রমূখ।
কিশোরগঞ্জ কেশবা ইউনাইটেড মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ড. মোসা. মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইএসডিও স্কুল ফিডিং কর্মসূচীর জেলা ম্যানেজার মোঃ সামসুল আলম, ইউএসডিও(এমএফ) জোনাল ম্যানেজার মোঃ জমশেদ আলী প্রমূখ।
ইএসডিও স্কুল ফিডিং কর্মসূচীর জেলা ম্যানেজার মোঃ সামসুল আলম জানান, জেলার জলঢাকা উপজলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার ৫শত ৫৭ জন শিক্ষার্থী ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১ হাজার ৩শত ৩৪ জন শিক্ষার্থী কর্মদিবসে প্রতিদিন এই সুবিধার আওতায় আসবে। শিক্ষার্থীরা একটি কলা, একটি সিদ্ধ ডিম ও দুইটি করে বনরুটি পাবে। তবে কলা ও ডিম সিদ্ধ করতে স্কুল ঘেষা একজন করে ‘মাদার’ নিয়োগ করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইএসডিও (এনজিও)। এতে করে বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি ও উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সাপ্তাহিক রুটিণ প্লান অনুযায়ী দেওয়া হবে। কর্ম দিবসগুলোতে শিক্ষার্থীরা রবিবার পাবে বনরুটি ও একটি সিদ্ধ ডিম, সোমবার পাবে শুধু বনরুটি, মঙ্গলবার পাবে কলা, বুধবার বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম এবং বৃহস্পতিবারও বনরুটি ও কলা দেওয়া হবে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মাদাররা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দিবে। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা ইউনাইটেড মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, এবারের খাদ্যওলো দ্রুত পচনশীল ধরণের। সঠিক মেয়াদ ও মানসম্পন্ন না হলে অপচয় হবে। এতে করে সুষ্ঠুভাবে খাদ্য বিতরণ বাঁধাগ্রস্থ হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।