সৈয়দপুর ০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৌকাডুবির ঘটনায় বোদা উপজেলার করোতোয়া পাড়ে পূজার উৎসব ম্লান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। ৭ম দিনের মতো শনিবারও মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান চলেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তিনজনের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের জন্য সারাবছর উদগ্রিব হয়ে অপেক্ষা করলেও এবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ বোদা উপজেলার করোতোয়া পাড়ের এলাকাগুলোতে উৎসবের কোনো আমেজ নেই। বিরাজ করছে শোকের ছায়া। প্রতিটি মণ্ডপে টাঙানো হয়েছে শোকের ব্যানার।
শোকের মাতম চলছে বাড়ি বাড়ি।

নৌকাডুবির ঘটনায় স্বজনদের হারিয়ে দিশেহারা মা দুর্গার ভক্তকূল। ম্লান হয়ে গেছে পূজার উৎসব।

আয়োজকরা বলছেন, নৌকাডুবিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা শোকাহত। এ জন্য সপ্তমীর দিনে সারা দেশে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

পঞ্চগড় জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিপেন চন্দ্র রায় জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি মৃত ব্যক্তিদের শান্তি কামনায় শারদীয় দুর্গোৎসবের সপ্তমীর দিনে দেশের পূজা মণ্ডপগুলোয় বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওইদিন সকালে অঞ্জলি শেষে সারা দেশে একযোগে এই বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পঞ্চগড় জেলার ২৯৫টি পূজা মণ্ডপে অনাড়ম্বর দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আগে যতটুকু সাজসজ্জা করা হয়েছিল, তা সেখানেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ আলোকজজ্জা ও অতিরিক্ত গানবাজনা পরিহার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গাপূজা চলাকালে কালো ব্যাজ ধারণ এবং মণ্ডপগুলোয় শোক ব্যানার টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে শতাধিক যাত্রীসহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সে সময় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। পরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে স্থানীয়রাসহ প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ৬৮ জনই সনাতন ধর্মের। কেবলমাত্র মাঝি হাশেম আলীই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এছাড়া আরো তিনজন সনাতনী এখনো নিখোঁজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


নৌকাডুবির ঘটনায় বোদা উপজেলার করোতোয়া পাড়ে পূজার উৎসব ম্লান

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। ৭ম দিনের মতো শনিবারও মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান চলেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তিনজনের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের জন্য সারাবছর উদগ্রিব হয়ে অপেক্ষা করলেও এবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ বোদা উপজেলার করোতোয়া পাড়ের এলাকাগুলোতে উৎসবের কোনো আমেজ নেই। বিরাজ করছে শোকের ছায়া। প্রতিটি মণ্ডপে টাঙানো হয়েছে শোকের ব্যানার।
শোকের মাতম চলছে বাড়ি বাড়ি।

নৌকাডুবির ঘটনায় স্বজনদের হারিয়ে দিশেহারা মা দুর্গার ভক্তকূল। ম্লান হয়ে গেছে পূজার উৎসব।

আয়োজকরা বলছেন, নৌকাডুবিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা শোকাহত। এ জন্য সপ্তমীর দিনে সারা দেশে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

পঞ্চগড় জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিপেন চন্দ্র রায় জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি মৃত ব্যক্তিদের শান্তি কামনায় শারদীয় দুর্গোৎসবের সপ্তমীর দিনে দেশের পূজা মণ্ডপগুলোয় বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওইদিন সকালে অঞ্জলি শেষে সারা দেশে একযোগে এই বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পঞ্চগড় জেলার ২৯৫টি পূজা মণ্ডপে অনাড়ম্বর দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আগে যতটুকু সাজসজ্জা করা হয়েছিল, তা সেখানেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ আলোকজজ্জা ও অতিরিক্ত গানবাজনা পরিহার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গাপূজা চলাকালে কালো ব্যাজ ধারণ এবং মণ্ডপগুলোয় শোক ব্যানার টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে শতাধিক যাত্রীসহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সে সময় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। পরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে স্থানীয়রাসহ প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ৬৮ জনই সনাতন ধর্মের। কেবলমাত্র মাঝি হাশেম আলীই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এছাড়া আরো তিনজন সনাতনী এখনো নিখোঁজ।