পবিত্র আশুরা আজ

- আপডেট সময় : ০২:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৪৪৭ হিজরি সালের মহররম মাসের আজ ১০ তারিখ। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ এই দিনটি। দিনটি মুসলমানদের কাছে পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত।
আল্লাহ তায়ালার রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির আজগারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।
ইসলামের শ্বাশত আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়।
আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে তাজিয়া মিছিল উল্লেখযোগ্য।
বাসস জানিয়েছে, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে।
পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) সহ কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সবার প্রতি বেশি বেশি নেক আমল করার আহ্বান জানান তিনি।