বিনোদন ডেস্কঃ কলকাতার দুর্গা পূজার মণ্ডপে সিঁদুর খেললেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য কলকাতার কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেললেন অপু। সাথে ছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের মুখ অধ্যাপিকা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে। অপু যেমন অন্যের মুখে সিঁদুর মাখিয়ে দেন ঠিক তেমনি অন্যরাও সিঁদুর মাখিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মিষ্টিমুখও করেন তারা।

৯৩ তম বর্ষে কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ'এর এবারের থিম রূপ অন্তর। মূলত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এবারের থিমে। এই থিমের ভাবনা শিল্পী সোমনাথ মুখার্জির, যদিও এই থিমের অনুপ্রেরণা প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। প্রতিমা শিল্পী কুমোরটুলি পরিমল পাল।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, ‌‘ভারত আমার কাছে মনে হয় পাশের দেশ, বন্ধু দেশ। তাই আলাদা করে মনে হয় না অন্য কোথাও এসেছি। আর সিঁদুর খেলা আসলেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে।ছোটবেলায় দেখেছি মায়েরা সিঁদুর খেলতো, সিঁদুর নিচে পড়ে গেলে আমরা তুলে মুখে মাখতাম, আমাদের কেউ দিত না। আজকে নিজেই সিঁদুর খেলছি, খুব ভালো লাগছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার সেভাবে কখনো সিঁদুর খেলা হয়নি। কারণ বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় আমার শুটিং থাকে। এই প্রথমবার আমি নিজে সিঁদুর খেললাম। আগে মায়েরা খেলেছিল তখন মায়ের সাথে যোগ দিয়েছিলাম’।কলকাতাতেই এই প্রথম সিঁদুর খেলা বলেও জানান তিনি।

উচ্ছাস প্রকাশ করে অপু বলেন, ‘এটা ভীষণ ভালো লাগছে যে উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় আসা, পূজাটা পরিপূর্ণভাবে দেখব, উপভোগ করব - সেটাই হচ্ছে’।

নিজের সিনে ক্যারিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে অপু বলেন, ‘গেল দু’বছর  কোভিডের জন্য পিছিয়ে ছিলাম, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমার ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ রিলিজ হয়েছে। গত মাসে আমার তিনটা সিনেমা রিলিজ হয়েছে তার মধ্যে একটা এপার বাংলায়। এই মাসেই আর একটা সিনেমা রিলিজ হবার কথা রয়েছে, কোভিডের পর আবার কাজে ফিরছি। এখন ব্যস্ততা বাড়ছে’।

গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় শাকিব খান এবং শবনম বুবলীর প্রেম, বিয়ে, সন্তান ইস্যু। এই সম্পর্ক নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে, দিস্তার পর দিস্তা কাগজ খরচ হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হেসে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অপু। এক পর্যায়ে অপু জানান, ‘এগুলো ব্যক্তিগত বিষয়। এগুলো স্কিপ করি, ভালো লাগবে। আমি কলকাতায় আছি কিছুদিন। যেহেতু আমার মা-বাবা দুজনেই নেই, তাদের পিণ্ড দান করতে হবে। দাদা আছে তাকে নিয়েই এসেছি। ওকে দিয়েই পিণ্ডদান করতে যাবো’।