ফজল কাদিরঃ অসহায় ছিন্নমুল শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন নীলফামারী জলা প্রশাসক। কনকনে শীতে অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার (২০ ডিসম্বর) রাতেও ছিন্নমুল মানুষেরা যে যার মতো ঘুমিয়ে ছিলেন রেলস্টশনের প্ল্যাটফর্মে। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করেই কম্বল নিয়ে হাজির হন নীলফামারী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
জেলা প্রশাসক প্ল্যাটফর্মে কাঁথা-বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমুল মানুষদের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন একটি করে কম্বল। কম্বল পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ছিন্নমুল মানুষেরা। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জ্যাতি বিকাশ চদ্র উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য আসা কম্বলগুলা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে। এছাড়াও অসহায় ছিন্নমুল ও ভবঘুরে মানুষদের কম্বল বিতরণ করা হবে। কোন মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায় সেই উদ্যাগ নেয়া হয়েছে।
ষ্টেশনের প্লাটফর্মে শুয়ে থাকা এনতা আলী বলেন, শীয়ে রাত ঘুমাতে অনেক কষ্ট হতো। অনেক সময় শীতের কারনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আজকে স্যার আমাকে একটা শীতবস্ত্র দিয়েছেন। আজ শান্তিতে ঘুম হবে।
জিকরুল আলী বলেন, অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি কেউ আমাকে একটা শীতবস্ত্র দেয়নি। বরং ফিরিয়ে দিয়েছে। শীতের রায়ে ডিসি স্যার কম্বল দিয়েছে। কম্বল পেয়ে আমরা খুশি।
জব্বার মিয়া নামে এক রিকশাচালক বলেন, রোজগার করার পাশাপাশি যেখানে শীতবস্ত্র দিচ্ছে খবর পেলেই দৌড়ে যাই। শীতবস্ত্র আর পাই না। ডিসি স্যার আমাদের শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২শ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে দুর্যাগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে। এছাড়া ১৮লাখ টাকা এসেছে সরকারী ভাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।