সৈয়দপুর ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্যিকভাবে ওলকচু চাষে স্বপ্ন পূরণ করেছেন খানসামার কিষান-কিষানিরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৫১ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা স্থানীয় জাতের ওলকচু বাড়ির আশপাশে চাষ করে আসছেন অনেক কৃষক। এবার খানসামায় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, রোগ নিরাময়কারী ও লাভজনক উন্নত মাদ্রাজি জাতের ওলকচু চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শে অল্প খরচে অধিক মুনাফা করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন খানসামার কিষান-কিষানিরা। ফলে বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুষ্টিসম্মত খাদ্য হিসেবে বাজারে চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত বছর খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো মাদ্রাজি জাতের ওলকচুর চাষ হয়। সেই সাফল্য দেখে এবং কৃষি বিভাগের প্রচারণায় এ বছর বেড়েছে ওলকচু চাষ। খানসামার মাটি ওলকচু চাষের উপযোগী। ফলে নতুন নতুন চাষিও এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খানসামা উপজেলার ১৫ জন কৃষককে ওলকচু চাষে সহায়তা করে কৃষি বিভাগ।

এছাড়াও অনেকে স্ব উদ্যোগে চাষ করছেন। উপজেলায় ৪ একর জমিতে ওলকচু চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। কৃষকরা এখন ওলকচু তুলছেন। এ ওলকচু বাজারে প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খামারপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, দেশিজাতের ওলকচুর চেয়ে মাদ্রাজি জাতের ওলকচুতে লাভ বেশি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২০ শতক জমিসহ নিজ উদ্যোগে আমি ৪০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। ফলন হয়েছে ২ হাজার কেজি। যা বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি। উপজেলার মাটি ওলকচু চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ হয়। ওলকচু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন এবং ভালো বাজার মূল্য পাবেন। তাই চাষ আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


বাণিজ্যিকভাবে ওলকচু চাষে স্বপ্ন পূরণ করেছেন খানসামার কিষান-কিষানিরা

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা স্থানীয় জাতের ওলকচু বাড়ির আশপাশে চাষ করে আসছেন অনেক কৃষক। এবার খানসামায় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, রোগ নিরাময়কারী ও লাভজনক উন্নত মাদ্রাজি জাতের ওলকচু চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শে অল্প খরচে অধিক মুনাফা করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন খানসামার কিষান-কিষানিরা। ফলে বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুষ্টিসম্মত খাদ্য হিসেবে বাজারে চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত বছর খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো মাদ্রাজি জাতের ওলকচুর চাষ হয়। সেই সাফল্য দেখে এবং কৃষি বিভাগের প্রচারণায় এ বছর বেড়েছে ওলকচু চাষ। খানসামার মাটি ওলকচু চাষের উপযোগী। ফলে নতুন নতুন চাষিও এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খানসামা উপজেলার ১৫ জন কৃষককে ওলকচু চাষে সহায়তা করে কৃষি বিভাগ।

এছাড়াও অনেকে স্ব উদ্যোগে চাষ করছেন। উপজেলায় ৪ একর জমিতে ওলকচু চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। কৃষকরা এখন ওলকচু তুলছেন। এ ওলকচু বাজারে প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খামারপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, দেশিজাতের ওলকচুর চেয়ে মাদ্রাজি জাতের ওলকচুতে লাভ বেশি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২০ শতক জমিসহ নিজ উদ্যোগে আমি ৪০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। ফলন হয়েছে ২ হাজার কেজি। যা বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি। উপজেলার মাটি ওলকচু চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ হয়। ওলকচু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন এবং ভালো বাজার মূল্য পাবেন। তাই চাষ আরও বাড়বে।