সৈয়দপুর ০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীজের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে আলু চাষীরা

আশরাফুল ইসলাম রাজু
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো. আশরাফুল ইসলাম রাজু: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রান্তিক শ্রেনীর কৃষকরা ব্যস্ততম সময় পার করছেন আগাম আলু পরিচর্যায়। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার জমিগুলো একদম উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় প্রতিবছর আগাম আলু চাষ হয়ে থাকে এখানে।এবছরেও আগাম আলু চাষ করে সেই আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন এই প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকরা। আলু রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করে বাজারজাত করা হয়।  তবে এবার আলুর বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ন্যয্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুচিন্তায় কৃষকেরা।

মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।অন্যদিকে আগাম আলুর পরিচর্যার পাশাপাশি বর্তমানে হাইব্রিড জাতের ধান কর্তন করে সেই জমিগুলোতেও চলছে আলু রোপনের কাজ।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক ও সার ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের জমিগুলোতে হাইব্রিড জাতের ধান ছিলো তাই ধান ঘরে তুলতে একটু সময় লেগেছে তদুপরি আমি নিজেই জমিতে আলু রোপন শুরু করেছি। অধিক লাভের আশায় আমরা আগাম আলু রোপন করি। গতবারের থেকে এবার খরচ বেশি হয়েছে। আলুর বীজের দাম বেশি।আশা করি ভালো দাম পেলে লাভ হবে।একই সাথে তিনি জানান এবারে সারের কোন রকম সংকট না থাকায় কৃষকরা অনেকটাই ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।বাজারে ক্রেতাদের মোটামুটি সারের চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে আরেক আলু চাষি বলেন, এবার আমি ৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছি। বীজ, কৃষক, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হচ্ছে। আগাম আলুতে ভালো দাম না পেলে লস হয়ে যাবে আগাম আলু রোপন করে দাম নিয়ে চিন্তায় আছি। বীজের ৬৫-৭০টাকা কেজি বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি। তবে এ উপজেলায় প্রতিবছর কৃষকেরা আগাম আলুর ভালো দাম পেয়ে থাকে। অনেকে আগাম আলু রোপণ করেছে।যারা আগাম আলু রোপন করেনি তারা এখন আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ায় এবং কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ একটু বেশি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


বীজের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে আলু চাষীরা

আপডেট সময় : ০২:২৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মো. আশরাফুল ইসলাম রাজু: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রান্তিক শ্রেনীর কৃষকরা ব্যস্ততম সময় পার করছেন আগাম আলু পরিচর্যায়। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার জমিগুলো একদম উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় প্রতিবছর আগাম আলু চাষ হয়ে থাকে এখানে।এবছরেও আগাম আলু চাষ করে সেই আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন এই প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকরা। আলু রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করে বাজারজাত করা হয়।  তবে এবার আলুর বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ন্যয্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুচিন্তায় কৃষকেরা।

মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।অন্যদিকে আগাম আলুর পরিচর্যার পাশাপাশি বর্তমানে হাইব্রিড জাতের ধান কর্তন করে সেই জমিগুলোতেও চলছে আলু রোপনের কাজ।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক ও সার ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের জমিগুলোতে হাইব্রিড জাতের ধান ছিলো তাই ধান ঘরে তুলতে একটু সময় লেগেছে তদুপরি আমি নিজেই জমিতে আলু রোপন শুরু করেছি। অধিক লাভের আশায় আমরা আগাম আলু রোপন করি। গতবারের থেকে এবার খরচ বেশি হয়েছে। আলুর বীজের দাম বেশি।আশা করি ভালো দাম পেলে লাভ হবে।একই সাথে তিনি জানান এবারে সারের কোন রকম সংকট না থাকায় কৃষকরা অনেকটাই ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।বাজারে ক্রেতাদের মোটামুটি সারের চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে আরেক আলু চাষি বলেন, এবার আমি ৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছি। বীজ, কৃষক, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হচ্ছে। আগাম আলুতে ভালো দাম না পেলে লস হয়ে যাবে আগাম আলু রোপন করে দাম নিয়ে চিন্তায় আছি। বীজের ৬৫-৭০টাকা কেজি বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি। তবে এ উপজেলায় প্রতিবছর কৃষকেরা আগাম আলুর ভালো দাম পেয়ে থাকে। অনেকে আগাম আলু রোপণ করেছে।যারা আগাম আলু রোপন করেনি তারা এখন আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ায় এবং কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ একটু বেশি হচ্ছে।