সৈয়দপুর ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব’ নিয়োগে বিএনপিতে গুঞ্জন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৮ ডিসেম্বর ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। কারাগারে থাকায় মহাসচিব ছাড়াই চলছে বিএনপি। এ কারণে কমিটি অনুমোদন, যৌথ সভা আহ্বান, দলীয় আর্থিক লেনদেনে চেকবইয়ে স্বাক্ষরসহ নানা কাজে সমস্যা হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কে হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলের নেতা-কর্মীসহ সব মহলে।

এদিকে বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। যার কারনে বিএনপির হাইকমান্ডও ভাবছে না ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতে দলের মহাসচিবের জামিন হবে। আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, অতীতেও দলের মহাসচিব কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। তখনো ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করিনি।মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে দলের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে উচ্চ আদালতে জামিন পেতে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নিয়েও তৈরি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ ঘিরে নেতা-কর্মীরা আটক হওয়ার পরও দল বেশ চাঙা আছে। দলীয় এমপিরাও সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে দলের মহাসচিবের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব কে পাচ্ছেন- তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। এরই মধ্যে একজন যুগ্ম মহাসচিবকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুজবও রটেছে।

বিএনপি বলছে, এ মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে মহাসচিব পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা নেই। মহাসচিব পদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও। স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

আবার কেউ বলছেন, বৈশ্বিক রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং কর্মী ধরে রাখতে আর্থিক বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন। সে জায়গা থেকে এ দুজনের একজনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

গঠনতন্ত্রের ধারাক্রম অনুযায়ী, মহাসচিবের অবর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, তার অবর্তমানে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে মাহবুব উদ্দিন খোকনের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ আলোচনায় আছেন।

গঠনতন্ত্র অনুসারে মহাসচিব আর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে ১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার কথা। বিএনপিতে সাতজন যুগ্ম মহাসচিব রয়েছেন। তারা হলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন-অর-রশিদ ও আসলাম চৌধুরী। তারাও আলোচনায় রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


‘ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব’ নিয়োগে বিএনপিতে গুঞ্জন

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৮ ডিসেম্বর ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। কারাগারে থাকায় মহাসচিব ছাড়াই চলছে বিএনপি। এ কারণে কমিটি অনুমোদন, যৌথ সভা আহ্বান, দলীয় আর্থিক লেনদেনে চেকবইয়ে স্বাক্ষরসহ নানা কাজে সমস্যা হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কে হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলের নেতা-কর্মীসহ সব মহলে।

এদিকে বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। যার কারনে বিএনপির হাইকমান্ডও ভাবছে না ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতে দলের মহাসচিবের জামিন হবে। আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, অতীতেও দলের মহাসচিব কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। তখনো ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করিনি।মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে দলের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে উচ্চ আদালতে জামিন পেতে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নিয়েও তৈরি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ ঘিরে নেতা-কর্মীরা আটক হওয়ার পরও দল বেশ চাঙা আছে। দলীয় এমপিরাও সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে দলের মহাসচিবের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব কে পাচ্ছেন- তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। এরই মধ্যে একজন যুগ্ম মহাসচিবকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুজবও রটেছে।

বিএনপি বলছে, এ মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে মহাসচিব পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা নেই। মহাসচিব পদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও। স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

আবার কেউ বলছেন, বৈশ্বিক রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং কর্মী ধরে রাখতে আর্থিক বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন। সে জায়গা থেকে এ দুজনের একজনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

গঠনতন্ত্রের ধারাক্রম অনুযায়ী, মহাসচিবের অবর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, তার অবর্তমানে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে মাহবুব উদ্দিন খোকনের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ আলোচনায় আছেন।

গঠনতন্ত্র অনুসারে মহাসচিব আর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে ১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার কথা। বিএনপিতে সাতজন যুগ্ম মহাসচিব রয়েছেন। তারা হলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন-অর-রশিদ ও আসলাম চৌধুরী। তারাও আলোচনায় রয়েছেন।