সৈয়দপুর ০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিন ৩ মাসের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে পারলে ১ বছরে কেন সম্ভব নয়- ডাঃ এ জেড এম জাহিদ

ফজিল কাদির
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদির: রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিন ৩ মাসের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে পারলেও এই অন্তবর্তী সরকার এক বছর হতে চলল এখনও নির্বাচন দিতে পারেনি। নির্বাচন যতই প্রলম্বিত হবে, ততই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। বিএনপি দ্রুততম সময়ে সংস্কার ও স্বৈরাচারদের বিচার চায়। যে বা যে ধারারই হোক, যে বাহিনীর সদস্য হোক, যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু নয় সাড়ে পনের বছরে যাদের গুম, খুন ও অত্যাচার করেছে । এই মানুষগুলোর যত কষ্ট ও বেদনা এবং শহীদদের আত্বা তখনই শান্তি পাবে যখন এই স্বৈরাচারদের বিচার হবে। তখন আইনের শাসন হবে, সুশাসন হবে ও গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্টিত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার সকালে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ীতে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর করবে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের সময় এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মাহেরীন আমাদের সমাজে একজন আলোকিত মানুষ। তিনি নিজের জীবণ তুচ্ছ করে ২০ জন শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষা করেছেন। যা আমাদের দেশে অনন্য দৃষ্টান্ত। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ নেতা-কর্মীরা এই মহীয়সি শিক্ষিকা প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি।

ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রæয়ারীর প্রথমার্ধে কাঙ্খিত নির্বাচন হবে। আমরা এখনও আশাবাদী গনতন্ত্র ফিরে আসবে। ইদানিং তো যাচ্ছে, যারা গনতন্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে স্বৈরাচারকে ফেরৎ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৩১ দফার যে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে তা সুস্পষ্ট লিখা আছে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়তে চাই। এখন অনেকেই বিভাজন করার চেষ্টা করছেন তারা তাদের বক্তব্য নিয়ে মাঠে আসুন। প্রমাণ করুণ আপনাদের জনপ্রিয়তা। জনগন যাকে ভাল মনে করে, তার পক্ষে রায় দিবে। কিন্তু জন আকাংখা ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে পদযাত্রা ও ঢাকায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে যা ইচ্ছা বলে দিবেন তা কিন্তু জনগনের ইচ্ছা না। জনগন যাকে গ্রহন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় তাকে সাধুবাদ জানাবে। তবে একটি শর্ত একটাই, ‘আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুসি তাকে দিব।’ শেষ বিচারে জয় হবে এদেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের । এতে শহীদ জিয়ারও আত্বা শান্তি পাবে।

চাঁদাবাজদের বিষয়ে সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিষয়ে অনেক প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে ষঢ়যন্ত্র শুরু করেছিল। পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার কিছুই অভিযোগই প্রমাণ করতে পারে নাই। অবশেষে গ্রেনেড হামলায় ৩য় পর্যায়ে সাপ্লিমেন্টরী চার্চসিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাকে দিয়ে স্বাক্ষী দেওয়া হয়েছে ,সেই লোকটাও মারা গেছে। কিভাবে করাকক্ষে কিভাবে মারা গেছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের ষঢ়যন্ত্র বিএনপির বিরুদ্ধে, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। খালেদা জিয়া ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২৩টি সিটে নির্বাচিত। জনগণ কখনই বিমুখ করেনি। এই জনপ্রিয় মানুষের উত্তরসূরি তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কাজে তাঁকে মেলাইন করার জন্য, তাঁর চরিত্র হনন করার জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছে। এমনকি তাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষঢ়যন্ত্রকারীরা তো এখনও ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত। যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে ৬ বৎসরের অধিক জেলখানায় কারাবন্দী করা হয়েছিল। পরবর্তী দেখা গেল তিনি বেকসুর খালাস পেলেন। তিনি একজন সুস্থ্য মানুষ ছিলেন, ২০১৮ ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় হেঁটে গেলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যখন, পিজি হাসপাতাল থেকে শর্তে গৃহবন্দী করা হলো তখন খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে ভর করতে হলো। এখনও বিএনপি ও শহীদ জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র থেমে নেই।

তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলার যট শেষ হলে তারেক রহমান শেষে ফিরবেন।

এদিকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাস স্বপ্না, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রুবেল, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান বাচ্চু, বিএনপি নেতা ও জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী সহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিন ৩ মাসের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে পারলে ১ বছরে কেন সম্ভব নয়- ডাঃ এ জেড এম জাহিদ

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ফজল কাদির: রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিন ৩ মাসের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে পারলেও এই অন্তবর্তী সরকার এক বছর হতে চলল এখনও নির্বাচন দিতে পারেনি। নির্বাচন যতই প্রলম্বিত হবে, ততই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। বিএনপি দ্রুততম সময়ে সংস্কার ও স্বৈরাচারদের বিচার চায়। যে বা যে ধারারই হোক, যে বাহিনীর সদস্য হোক, যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু নয় সাড়ে পনের বছরে যাদের গুম, খুন ও অত্যাচার করেছে । এই মানুষগুলোর যত কষ্ট ও বেদনা এবং শহীদদের আত্বা তখনই শান্তি পাবে যখন এই স্বৈরাচারদের বিচার হবে। তখন আইনের শাসন হবে, সুশাসন হবে ও গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্টিত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার সকালে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ীতে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর করবে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের সময় এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মাহেরীন আমাদের সমাজে একজন আলোকিত মানুষ। তিনি নিজের জীবণ তুচ্ছ করে ২০ জন শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষা করেছেন। যা আমাদের দেশে অনন্য দৃষ্টান্ত। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ নেতা-কর্মীরা এই মহীয়সি শিক্ষিকা প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি।

ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রæয়ারীর প্রথমার্ধে কাঙ্খিত নির্বাচন হবে। আমরা এখনও আশাবাদী গনতন্ত্র ফিরে আসবে। ইদানিং তো যাচ্ছে, যারা গনতন্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে স্বৈরাচারকে ফেরৎ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৩১ দফার যে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে তা সুস্পষ্ট লিখা আছে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়তে চাই। এখন অনেকেই বিভাজন করার চেষ্টা করছেন তারা তাদের বক্তব্য নিয়ে মাঠে আসুন। প্রমাণ করুণ আপনাদের জনপ্রিয়তা। জনগন যাকে ভাল মনে করে, তার পক্ষে রায় দিবে। কিন্তু জন আকাংখা ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে পদযাত্রা ও ঢাকায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে যা ইচ্ছা বলে দিবেন তা কিন্তু জনগনের ইচ্ছা না। জনগন যাকে গ্রহন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় তাকে সাধুবাদ জানাবে। তবে একটি শর্ত একটাই, ‘আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুসি তাকে দিব।’ শেষ বিচারে জয় হবে এদেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের । এতে শহীদ জিয়ারও আত্বা শান্তি পাবে।

চাঁদাবাজদের বিষয়ে সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিষয়ে অনেক প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে ষঢ়যন্ত্র শুরু করেছিল। পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার কিছুই অভিযোগই প্রমাণ করতে পারে নাই। অবশেষে গ্রেনেড হামলায় ৩য় পর্যায়ে সাপ্লিমেন্টরী চার্চসিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাকে দিয়ে স্বাক্ষী দেওয়া হয়েছে ,সেই লোকটাও মারা গেছে। কিভাবে করাকক্ষে কিভাবে মারা গেছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের ষঢ়যন্ত্র বিএনপির বিরুদ্ধে, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। খালেদা জিয়া ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২৩টি সিটে নির্বাচিত। জনগণ কখনই বিমুখ করেনি। এই জনপ্রিয় মানুষের উত্তরসূরি তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কাজে তাঁকে মেলাইন করার জন্য, তাঁর চরিত্র হনন করার জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছে। এমনকি তাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষঢ়যন্ত্রকারীরা তো এখনও ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত। যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে ৬ বৎসরের অধিক জেলখানায় কারাবন্দী করা হয়েছিল। পরবর্তী দেখা গেল তিনি বেকসুর খালাস পেলেন। তিনি একজন সুস্থ্য মানুষ ছিলেন, ২০১৮ ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় হেঁটে গেলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যখন, পিজি হাসপাতাল থেকে শর্তে গৃহবন্দী করা হলো তখন খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে ভর করতে হলো। এখনও বিএনপি ও শহীদ জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র থেমে নেই।

তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলার যট শেষ হলে তারেক রহমান শেষে ফিরবেন।

এদিকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাস স্বপ্না, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক, নীলফামারী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রুবেল, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান বাচ্চু, বিএনপি নেতা ও জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী সহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।