সৈয়দপুর ০২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের রাস্তায় জলাবদ্ধতা

মো: মারুফ হোসেন লিওন
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন, স্টাফ রিপোর্টার: অল্প একটু বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা জুড়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামতপাড়ায়। অবহেলিত এ রাস্তা কখনো সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা নাকি খাল। ভারী পণ্যবাহী কোনো পরিবহণ এই রাস্তায় চলাচলের অনুপোযোগী। এমনকি মোটরসাইকেল,বৈদ্যুতিকচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ছোট ট্রলি চলাচল করতে পারছে না। জলবদ্ধতার কারণে ৩০ টি পরিবার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।সৈয়দপুর পৌরসভাধীন১ নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামতপাড়ার রাস্তাটি , সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে দেখলে এটিকে রাস্তা মনে নাও হতে পারে। মনে হতে পারে খাল-খন্দের মাঝে মাঝে সামান্য একটু রাস্তা।

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। স্থানীয়দের যাতায়াতের প্রধান এই রাস্তাটি মাটির হওয়ায় বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।স্থানীয়রা বলছেন প্রতিদিন এই রাস্তায় ৫০০ লোক যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার কয়একশত মানুষ ও পরিবহন চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলী বলেন, এই রাস্তা নিয়ে আমার অভিযোগ, বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু এই রাস্তা ঠিক হয় না। জন্মের পর থেকেই রাস্তার এ দশা দেখে আসছি। কোনো সরকার বা প্রতিনিধি এ রাস্তা উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

স্কুল শিক্ষার্থী কামাল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না । কাদা আর পানির জন্য হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় নেই।

আনিসুর রহমান বলেন, এলাকার বাসিন্দা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় থাকে না। অনেক জনপ্রতিনিধি আশ্বস্ত করেছেন রাস্তা সংস্কারের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তা দিব্যি ভুলে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


সৈয়দপুরে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের রাস্তায় জলাবদ্ধতা

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন, স্টাফ রিপোর্টার: অল্প একটু বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা জুড়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামতপাড়ায়। অবহেলিত এ রাস্তা কখনো সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা নাকি খাল। ভারী পণ্যবাহী কোনো পরিবহণ এই রাস্তায় চলাচলের অনুপোযোগী। এমনকি মোটরসাইকেল,বৈদ্যুতিকচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ছোট ট্রলি চলাচল করতে পারছে না। জলবদ্ধতার কারণে ৩০ টি পরিবার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।সৈয়দপুর পৌরসভাধীন১ নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামতপাড়ার রাস্তাটি , সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে দেখলে এটিকে রাস্তা মনে নাও হতে পারে। মনে হতে পারে খাল-খন্দের মাঝে মাঝে সামান্য একটু রাস্তা।

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। স্থানীয়দের যাতায়াতের প্রধান এই রাস্তাটি মাটির হওয়ায় বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।স্থানীয়রা বলছেন প্রতিদিন এই রাস্তায় ৫০০ লোক যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার কয়একশত মানুষ ও পরিবহন চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলী বলেন, এই রাস্তা নিয়ে আমার অভিযোগ, বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু এই রাস্তা ঠিক হয় না। জন্মের পর থেকেই রাস্তার এ দশা দেখে আসছি। কোনো সরকার বা প্রতিনিধি এ রাস্তা উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

স্কুল শিক্ষার্থী কামাল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না । কাদা আর পানির জন্য হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় নেই।

আনিসুর রহমান বলেন, এলাকার বাসিন্দা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় থাকে না। অনেক জনপ্রতিনিধি আশ্বস্ত করেছেন রাস্তা সংস্কারের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তা দিব্যি ভুলে যান।