সৈয়দপুর ১১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে নানা কর্মসূচীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন, স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি, জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত দিবস পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, দিনভর জিয়ার ভাষণ প্রচার, কুরআনখানী, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা। বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার।

তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি জিয়া ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রচলনকারী, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার। তাঁর ডাকেই ৭১ এ পাকিস্তানি শোষকদের নানামুখী অত্যাচার ও শোষণে নিষ্পেষিত বাঙ্গালীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তেমনি একদলীয় বাকশালী শোষণে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল পথের দিশা।

বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল প্রকৃত গগণতন্ত্র। যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল স্বমহিমায়। এতে সমগ্র জাতি খুশি হলেও ভারতীয় দালাল ও স্বাধীনতা উত্তর লুটেরা চক্র মেনে নিতে পারেনি। তাই ষড়যন্ত্র করে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যকে দিয়ে ক্যু ঘটিয়ে জনতার প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল।
সেই হত্যাকারী দেশ বিরোধীরাই আবার ফখরুদ্দীন মঈন উদ্দীন গংদের সহায়তায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নবরুপে বাকশাল কায়েম করে জনগনের ঘাড়ে চেপে বসে গত ১৩ বছরে বেপরোয়া লুটপাট ও স্বৈরাচারী কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দেশ আজ মহা সংকটে। লাগামহীন দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার।

অধিকার আদায়ে দাবী তোলা তো দূরের কথা, নিজেদের দুঃখ কষ্টের কথাও বলার স্বাধীনতা নাই। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বিনাভোটেই আজব সরকার গঠন করে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যে কারণে সভ্য দেশগুলোর দৃষ্টি দেশের ভাবমূর্তি আজ শূন্যের কোটায়। তবুও থেমে নেই আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার মিথ্যেচার। লাগাতার বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করার পাশাপাশি অর্থ লুট ও বিদেশে পাচার অব্যাহত রেখেছে।
এথেকে পরিত্রাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আমাদের কে আবারও শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া নীতির মাধ্যমে বিপ্লবী হতে হবে। ৭৫ ও ৯১ এর মত আবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দল মত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ মহান নেতার এই ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে সেই শপথে মাঠে নামার আহবান জানাই।

সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, প্রভাষক ও সাপ্তাহিক জনসমস্যা পত্রিকার সম্পাদক শওকত হায়াত শাহ, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়ের জিয়াউল হক জিয়া, সামসুল হক সরকার।

সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, মানোয়ার হোসেন ও এম এ পারভেজ লিটন, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর সভাপতি রশিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, পৌর কোষাধ্যক্ষ গোলাপ হোসেন, উপজেলা বিএনপি’র নেতা আব্দুল হাফিজ, ওলামাদল নেতা কারী মকসুদ আলম সহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে বিকাল ৪ টায় শহরের সোহেল রানা মোড়ে প্রায় সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য (তবারক) বিতরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


সৈয়দপুরে নানা কর্মসূচীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন, স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি, জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত দিবস পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, দিনভর জিয়ার ভাষণ প্রচার, কুরআনখানী, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা। বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার।

তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি জিয়া ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রচলনকারী, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার। তাঁর ডাকেই ৭১ এ পাকিস্তানি শোষকদের নানামুখী অত্যাচার ও শোষণে নিষ্পেষিত বাঙ্গালীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তেমনি একদলীয় বাকশালী শোষণে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল পথের দিশা।

বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল প্রকৃত গগণতন্ত্র। যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল স্বমহিমায়। এতে সমগ্র জাতি খুশি হলেও ভারতীয় দালাল ও স্বাধীনতা উত্তর লুটেরা চক্র মেনে নিতে পারেনি। তাই ষড়যন্ত্র করে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যকে দিয়ে ক্যু ঘটিয়ে জনতার প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল।
সেই হত্যাকারী দেশ বিরোধীরাই আবার ফখরুদ্দীন মঈন উদ্দীন গংদের সহায়তায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নবরুপে বাকশাল কায়েম করে জনগনের ঘাড়ে চেপে বসে গত ১৩ বছরে বেপরোয়া লুটপাট ও স্বৈরাচারী কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দেশ আজ মহা সংকটে। লাগামহীন দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার।

অধিকার আদায়ে দাবী তোলা তো দূরের কথা, নিজেদের দুঃখ কষ্টের কথাও বলার স্বাধীনতা নাই। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বিনাভোটেই আজব সরকার গঠন করে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যে কারণে সভ্য দেশগুলোর দৃষ্টি দেশের ভাবমূর্তি আজ শূন্যের কোটায়। তবুও থেমে নেই আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার মিথ্যেচার। লাগাতার বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করার পাশাপাশি অর্থ লুট ও বিদেশে পাচার অব্যাহত রেখেছে।
এথেকে পরিত্রাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আমাদের কে আবারও শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া নীতির মাধ্যমে বিপ্লবী হতে হবে। ৭৫ ও ৯১ এর মত আবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দল মত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ মহান নেতার এই ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে সেই শপথে মাঠে নামার আহবান জানাই।

সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, প্রভাষক ও সাপ্তাহিক জনসমস্যা পত্রিকার সম্পাদক শওকত হায়াত শাহ, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়ের জিয়াউল হক জিয়া, সামসুল হক সরকার।

সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, মানোয়ার হোসেন ও এম এ পারভেজ লিটন, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর সভাপতি রশিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, পৌর কোষাধ্যক্ষ গোলাপ হোসেন, উপজেলা বিএনপি’র নেতা আব্দুল হাফিজ, ওলামাদল নেতা কারী মকসুদ আলম সহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে বিকাল ৪ টায় শহরের সোহেল রানা মোড়ে প্রায় সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য (তবারক) বিতরণ করা হয়।