স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাবুর (৫০) মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলা শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে মারা যান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাবু।
কয়ানিজপাড়া এলাকার মৃত রোস্তম আলীর ছেলে নিহত বাবু। তিনি সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে মেনন ফটো স্টুডিওর মালিক ছিলেন।
পরিবারের দাবী, মিজানুর রহমান বাবু দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। এর আগে তিনি দু'বার স্ট্রোক করেন। হতাশা থেকেই তিনি ঘরের জানালায় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান তিনি। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী বলছেন, আর্থিক সংকটের কারনে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো বাবুর। আজ সকালেও ঝগড়া হয়। এতেই হয়তো নিহত বাবু উত্তেজিত হয়ে হার্ট এ্যাটাকে অথবা স্ট্রোক করে মারা গেছে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই বাবুর মৃত্যু অসুস্থতার কারনে হয়েছে বলে জানায় তার পারিবার। হাসপাতালে জানায় বাবু আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন হার্ট এ্যাটাকে অথবা স্ট্রোক করে মারা গেছে তিনি। নিহত বাবুর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আত্মহত্যা বা স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার কোন লক্ষণ পায়নি নিহতের শরীরে। ফলে মৃত্যুর কারন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হওয়ায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাশ নিয়ে পরিবার ও প্রশাসনের মধ্যে টানাপোড়ন চলে। শেষ পর্যন্ত সুরাহা না হওয়ায় বিকালে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠিয়ে দেয় প্রশাসন।
ঘটনা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ সার্কেল) সারোয়ার আলম জানান, সুরতহাল তদন্তে আত্মহত্যার বা স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার কোন লক্ষণ পায়নি চিকিৎসক। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবুল কালাম আজাদ
অফিস: হোল্ডিং নং- ৪২, মাহাতাব লেন, নিয়ামতপুর বৃত্তিপাড়া, সৈয়দপুর-৫৩১০, নীলফামারী।