সৈয়দপুর ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে নাটোরে যুবকের ৬০ বছরের কারাদন্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোর প্রতিনিধি: ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো: হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাফিজুল ইসলাম নাটোরের নলডাঙ্গার বাঙ্গালখলসী এলাকার মো: ইমান আলীর ছেলে।

আজ রবিবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান জানান, দুই সন্তানের জনক হাফিজুল ইসলাম ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের পরিবারকে জানালে কোনো সুরাহা না করে ভুক্তভোগীকে অপহরণের চেষ্টায় থাকে হাফিজুল। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে তার মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে প্রথমে নাটোর, পরে যশোরে নিয়ে যায় হাফিজুল। অনেক খোঁজাখুজি করেও মেয়েকে না পেয়ে পরের দিন ৩ জনের নামে নলডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে হাফিজুল। কিন্তু অবস্থা ভালো না থাকায় ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। আবারও ১৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের জন্য যশোরে নিয়ে যান হাফিজুল।এ সংবাদ পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: উজ্জ্বল হোসেন যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামীকে গ্রেপ্তার করে ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরে একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ২ নম্বর আসামী মো: সিরাজ ও ২১ সেপ্টেম্বর ৩ নম্বর আসামী মো: সিদ্দিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে মো: হাফিজুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সহ একই আইনের ৭ ধারায় হাফিজুলের বিরুদ্ধে আবারও একই সাজা ও জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী হাফিজুল ইসলামকে ৬০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং জরিমানার ৪০ হাজার টাকা ভুক্তভোগী পাবেন বলে জানান রাষ্টপক্ষের আইনজীবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে নাটোরে যুবকের ৬০ বছরের কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নাটোর প্রতিনিধি: ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো: হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাফিজুল ইসলাম নাটোরের নলডাঙ্গার বাঙ্গালখলসী এলাকার মো: ইমান আলীর ছেলে।

আজ রবিবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান জানান, দুই সন্তানের জনক হাফিজুল ইসলাম ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তের পরিবারকে জানালে কোনো সুরাহা না করে ভুক্তভোগীকে অপহরণের চেষ্টায় থাকে হাফিজুল। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে তার মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে প্রথমে নাটোর, পরে যশোরে নিয়ে যায় হাফিজুল। অনেক খোঁজাখুজি করেও মেয়েকে না পেয়ে পরের দিন ৩ জনের নামে নলডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে হাফিজুল। কিন্তু অবস্থা ভালো না থাকায় ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। আবারও ১৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের জন্য যশোরে নিয়ে যান হাফিজুল।এ সংবাদ পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: উজ্জ্বল হোসেন যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামীকে গ্রেপ্তার করে ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরে একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ২ নম্বর আসামী মো: সিরাজ ও ২১ সেপ্টেম্বর ৩ নম্বর আসামী মো: সিদ্দিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে মো: হাফিজুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সহ একই আইনের ৭ ধারায় হাফিজুলের বিরুদ্ধে আবারও একই সাজা ও জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী হাফিজুল ইসলামকে ৬০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং জরিমানার ৪০ হাজার টাকা ভুক্তভোগী পাবেন বলে জানান রাষ্টপক্ষের আইনজীবী।