সৈয়দপুর ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ দিন পর ডুবোযান টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ দ্য ইনডিপেনডেন্ট

চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে’ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রায় ১০ দিন পর ডুবোযান টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে।

গতকাল বুধবার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে আনার ছবি প্রথম প্রকাশ করা হয় বলে জানায় দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

গত ১৮ জুন টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতেআটলান্টিকে ডুব দেওয়া সাবমার্সিবল টাইটান সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে’ নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যায় সেটিতে থাকা পাঁচ আরোহীর সবাই।

২৮ জুন বুধবার প্রকাশিত নাটকীয় ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রুরা টাইটানের কয়েকটি টুকরো হরিজোন আর্কটিক শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্ট গার্ড ঘাঁটিতে নামিয়ে নিচ্ছে।

আটলান্টিকের মহাসাগরের প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে পানির নিচে ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

সেই ১৯১২ সালে ১০০ বছরেরও বেশি আগে নিজের প্রথম সমুদ্র যাত্রাতেই ডুবে যায় ওই সময়ের সর্ববৃহৎ জাহাজ টাইটানিক। ‍মারা যায় দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ও ক্রু।

ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া সেই টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখাতে নিয়ে যেত ওশানগেইট নামে একটি পর্যটন সংস্থা। এজন্য জনপ্রতি আড়াই লাখ ডলার গুণতে হতো। ওশানগেইটের ডুবোযান ছিল টাইটান। গত ১৮ জুন ডুব দেওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর পানির উপরে থাকা নিয়ন্ত্রক জাহাজের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের পর থেকেই টাইটানের অনুসন্ধানে সমুদ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চলছিল।

টাইটান কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা অনুসন্ধানে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যৌথ তদন্তদল।

এসময় টাইটান সাবমার্সিবলে আরোহী হিসেবে ব্রিটিশ ধনকুবের, বিমান সংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং (৫৮), ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে (৭৭), পাকিস্তানের এংরো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯) এবং ওশানগেইটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ (৬১)ছিলেন।

সমুদ্রের তলদেশে টাইটান হারিয়ে যাওয়ার পর সেটির অনুসন্ধানে প্রায় ২৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেটির অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়।

শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় সাগরের তলদেশে পাঠানো একটি রিমোট অপারেটিং ভেহিকলও (আরওভি)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


১০ দিন পর ডুবোযান টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে’ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রায় ১০ দিন পর ডুবোযান টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে।

গতকাল বুধবার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে আনার ছবি প্রথম প্রকাশ করা হয় বলে জানায় দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

গত ১৮ জুন টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতেআটলান্টিকে ডুব দেওয়া সাবমার্সিবল টাইটান সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে’ নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যায় সেটিতে থাকা পাঁচ আরোহীর সবাই।

২৮ জুন বুধবার প্রকাশিত নাটকীয় ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রুরা টাইটানের কয়েকটি টুকরো হরিজোন আর্কটিক শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্ট গার্ড ঘাঁটিতে নামিয়ে নিচ্ছে।

আটলান্টিকের মহাসাগরের প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে পানির নিচে ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

সেই ১৯১২ সালে ১০০ বছরেরও বেশি আগে নিজের প্রথম সমুদ্র যাত্রাতেই ডুবে যায় ওই সময়ের সর্ববৃহৎ জাহাজ টাইটানিক। ‍মারা যায় দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ও ক্রু।

ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া সেই টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখাতে নিয়ে যেত ওশানগেইট নামে একটি পর্যটন সংস্থা। এজন্য জনপ্রতি আড়াই লাখ ডলার গুণতে হতো। ওশানগেইটের ডুবোযান ছিল টাইটান। গত ১৮ জুন ডুব দেওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর পানির উপরে থাকা নিয়ন্ত্রক জাহাজের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের পর থেকেই টাইটানের অনুসন্ধানে সমুদ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চলছিল।

টাইটান কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা অনুসন্ধানে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যৌথ তদন্তদল।

এসময় টাইটান সাবমার্সিবলে আরোহী হিসেবে ব্রিটিশ ধনকুবের, বিমান সংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং (৫৮), ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে (৭৭), পাকিস্তানের এংরো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯) এবং ওশানগেইটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ (৬১)ছিলেন।

সমুদ্রের তলদেশে টাইটান হারিয়ে যাওয়ার পর সেটির অনুসন্ধানে প্রায় ২৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেটির অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়।

শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় সাগরের তলদেশে পাঠানো একটি রিমোট অপারেটিং ভেহিকলও (আরওভি)।