সৈয়দপুর ০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ বহিষ্কৃত প্রার্থী বিজয়ী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২ ৫০ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রংপুর প্রতিনিধিঃ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দলটির বহিষ্কৃত প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু।

রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমএ নির্বাচনে মোট এক হাজার ৯৫ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৮৪ ভোট হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদোহী প্রার্থী সাবেক রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোটরসাইকেল প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ৬০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনারস প্রতীকের অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট।

বিজয়ী প্রার্থী বাবলু দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে সদস্য পদে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ঢোল প্রতীকের জাতীয় পার্টির মমিনুর ইসলাম মমিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের সাইয়েদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তালা প্রতীকের পারভীন আখতার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাতি প্রতীকের সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ ভোট।

মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো: সম্রাট মামুন পাশা। তিনি তালা প্রতিকে পেয়েছেন ১২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উটপাখি প্রতীকের রবিউল ইসলাম প্রামানিক পেয়েছেন ৮৩ ভোট।

বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতিকের আওয়ামী লীগের মমতাজ উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তালা প্রতীকের শাহ মনজুল পেয়েছেন ১২ ভোট।

পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৮৩ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিঠিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ আলী হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৩ ভোট।

তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান। তিনি ভোট পেয়েছন ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফ্যান প্রতীকের রুহুল আমীন পেয়েছেন ৩২ ভোট।

কাউনিয়া থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার আনছারী হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ ভোট।

পীরগাছা উপজেলায় সদস্য পদে সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাতি প্রতীক নিয়ে আব্দুল হান্নান ৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আবুল কালাম আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ ভোট।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা পদে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের হরিণ মার্কার ক্ষ্যান্ত রাণী ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুলালী বেগম বিউটি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৮ ভোট। পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আফরোজা বেগম। তিনি পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে লায়লা রোজি ১৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটার ও প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮ কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে নির্বাচন শুরু হয়। কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল ভ্রাম্যমান আদালত। রংপুর বিভাগের আটটি জেলা পরিষদে এবার ৫৮টি ভোটকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন সাত হাজার ৫৪৬ জন। ৮টি চেয়ারম্যান পদে ১৩টি, ৫৮টি সদস্য পদের বিপরীতে ১৯৫ জন এবং ২২টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ১৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং পঞ্চগড় লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় একজন করে ও দিনাজপুরে দু’জন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


রংপুরে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ বহিষ্কৃত প্রার্থী বিজয়ী

আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

রংপুর প্রতিনিধিঃ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দলটির বহিষ্কৃত প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু।

রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমএ নির্বাচনে মোট এক হাজার ৯৫ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৮৪ ভোট হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদোহী প্রার্থী সাবেক রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোটরসাইকেল প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ৬০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনারস প্রতীকের অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট।

বিজয়ী প্রার্থী বাবলু দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে সদস্য পদে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ঢোল প্রতীকের জাতীয় পার্টির মমিনুর ইসলাম মমিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের সাইয়েদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তালা প্রতীকের পারভীন আখতার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাতি প্রতীকের সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ ভোট।

মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো: সম্রাট মামুন পাশা। তিনি তালা প্রতিকে পেয়েছেন ১২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উটপাখি প্রতীকের রবিউল ইসলাম প্রামানিক পেয়েছেন ৮৩ ভোট।

বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতিকের আওয়ামী লীগের মমতাজ উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তালা প্রতীকের শাহ মনজুল পেয়েছেন ১২ ভোট।

পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৮৩ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিঠিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ আলী হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৩ ভোট।

তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান। তিনি ভোট পেয়েছন ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফ্যান প্রতীকের রুহুল আমীন পেয়েছেন ৩২ ভোট।

কাউনিয়া থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার আনছারী হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ ভোট।

পীরগাছা উপজেলায় সদস্য পদে সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাতি প্রতীক নিয়ে আব্দুল হান্নান ৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আবুল কালাম আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ ভোট।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা পদে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের হরিণ মার্কার ক্ষ্যান্ত রাণী ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুলালী বেগম বিউটি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৮ ভোট। পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আফরোজা বেগম। তিনি পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে লায়লা রোজি ১৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটার ও প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮ কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে নির্বাচন শুরু হয়। কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল ভ্রাম্যমান আদালত। রংপুর বিভাগের আটটি জেলা পরিষদে এবার ৫৮টি ভোটকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন সাত হাজার ৫৪৬ জন। ৮টি চেয়ারম্যান পদে ১৩টি, ৫৮টি সদস্য পদের বিপরীতে ১৯৫ জন এবং ২২টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ১৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং পঞ্চগড় লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় একজন করে ও দিনাজপুরে দু’জন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।