কিশোরগঞ্জে বিএনপি-জাপার মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৫

- আপডেট সময় : ০৭:২০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

ফজল কাদির: বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দোয়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পাটোয়ারীসহ কিছু কর্মী কিশোরগঞ্জ হাই স্কুলে স্থান নির্ধারণ করে। এর আগে একই স্থানে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের স্থান নির্ধারণ করে। উভয়পক্ষ একই স্থান নির্ধারণ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে। সন্ধ্যায় মাসুদ পাটোয়ারীর পক্ষে তার ছোট ভাই সাবেক বিএনপি নেতা ও বর্তমানে জাপা মনোনিত কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান গ্ৰেনেট বাবু গ্ৰুপের লোকজন মূল বাজারের শাহী রোড বাচ্চা কুন্ডুর বাসার সামনে বিএনপি নেতা কর্মীর উপর লাঠি গোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা ও ইট নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় মর্তুজার বাড়িতে ইট দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে বিএনপির নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জাপা মনোনিত চেয়ারম্যানের দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জাপা মনোনিত চেয়ারম্যান গ্ৰেনেট বাবু গুরুত্বর আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া নূরনবী (৪২), লেবু মিয়া (৫৫), হাবিবুল্লাহ (৩৫), জুয়েল (১৮), সৈয়দ আলী (৩২), রাসিদ (১৭), জুয়েল (৪৪) পাইলট(২২) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আহত অন্যরা বিভিন্ন দোকানে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে বিএনপির নেতাদের জাপা চেয়ারম্যান গ্ৰুপ হুমকি দিচ্ছিল। আজ সন্ধ্যায় জাপা চেয়ারম্যান গ্ৰুপ অতর্কিত হামলা করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে বলে বিএনপি দাবী করেছে।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জ মূল বাজারের একাংশের দোকান পাট ছিল বন্ধ। এসময় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর টহল দেখে উভয়পক্ষ কিশোরগঞ্জ বাজার ত্যাগ করে।
বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পাটোয়ারী জানান-বৈষম্য শিকার ত্যাগী নেতারা বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে স্থান নির্ধারণ করে। সেই জায়গায় যাতে আমরা প্রোগ্ৰাম করতে না পারি এজন্য তারাও সেই জায়গাটি নির্ধারণ করে। এ নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আমার ছোট ভাইয়ের দোকান ভাংচুর করেছে তারা। তার পক্ষের অনেকে আহত হয়েছে বলেও দাবী করেন।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানান- স্থানীয় পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব না হওয়ায় পুলিশ সুপার স্যারকে বিষয়টি অবগত করলে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। যৌথবাহিনীর টহল দেখে উভয় পক্ষ স্থান ত্যাগ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।