সৈয়দপুর ১০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জনমনে অসন্তোষ

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের সিমেন্ট, বালু, ও পাথর দিয়ে অধিগ্রহন এলাকার মাটি কেটে সেচ খাল সংস্কার করায় এলাকাবাসির মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় টি-টু-এস-সেভেন-টি সেচ ক্যানেলের পূর্ণবাসন ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ও এস-ওয়ান-বি ক্যানেলের উভয় ডাইক সংস্কার পূর্ণবাসন কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা । সংস্কার ও পূর্ণবাসন কাজ দুটি করছেন পটুয়াখালির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবুল কারাম আজাদ ও মতিঝিল ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লিটন সিকদার(জেভি)।

এলাকাবাসী দুলাল, মোকলেছার রহমান, রফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম,কইদুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি মাটির কাজে ব্যাপক দূর্নীতি করেছেন। কার্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী বাহির থেকে উভয় ডাইকে মেরামতের জন্য অধিগ্রহন এলাকার বাহির থেকে মাটি সংগ্রহ করে এনে মেরামত করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওর্য়াক এ্যাসিসটেন্ট ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে ক্যানেলের অধিগ্রহন এলাকার মাটি কেটে মেরামত কাজ করছেন। এতে করে ক্যানেল ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পরবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এছাড়া ক্যানেলের সিসি লাইন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নি¤œমানের বালু ও মরা পাথর। এলাকাবাসী এ ধরনের নি¤œমানের কাজ করতে বার বার নিধেষ করলেও পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ সাধারণ মানুষের কথা কর্ণপাত করছেন না।

তবে ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ ও লিটন সিকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- কাজ অনিয়মানুযায়ী করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- এখানে এ্যাকোয়ার এলাকা থেকে মাটি কাটার কোন সুযোগ নাই, যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এর সাথে জড়িত না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জনমনে অসন্তোষ

আপডেট সময় : ১১:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের সিমেন্ট, বালু, ও পাথর দিয়ে অধিগ্রহন এলাকার মাটি কেটে সেচ খাল সংস্কার করায় এলাকাবাসির মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় টি-টু-এস-সেভেন-টি সেচ ক্যানেলের পূর্ণবাসন ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ও এস-ওয়ান-বি ক্যানেলের উভয় ডাইক সংস্কার পূর্ণবাসন কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা । সংস্কার ও পূর্ণবাসন কাজ দুটি করছেন পটুয়াখালির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবুল কারাম আজাদ ও মতিঝিল ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লিটন সিকদার(জেভি)।

এলাকাবাসী দুলাল, মোকলেছার রহমান, রফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম,কইদুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি মাটির কাজে ব্যাপক দূর্নীতি করেছেন। কার্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী বাহির থেকে উভয় ডাইকে মেরামতের জন্য অধিগ্রহন এলাকার বাহির থেকে মাটি সংগ্রহ করে এনে মেরামত করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওর্য়াক এ্যাসিসটেন্ট ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে ক্যানেলের অধিগ্রহন এলাকার মাটি কেটে মেরামত কাজ করছেন। এতে করে ক্যানেল ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পরবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এছাড়া ক্যানেলের সিসি লাইন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নি¤œমানের বালু ও মরা পাথর। এলাকাবাসী এ ধরনের নি¤œমানের কাজ করতে বার বার নিধেষ করলেও পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ সাধারণ মানুষের কথা কর্ণপাত করছেন না।

তবে ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ ও লিটন সিকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- কাজ অনিয়মানুযায়ী করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- এখানে এ্যাকোয়ার এলাকা থেকে মাটি কাটার কোন সুযোগ নাই, যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এর সাথে জড়িত না।