সৈয়দপুর ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে সবুজ জাতের মাল্টা চাষে আশার আলো দেখেন কৃষক আজিজুল

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদির: মাত্র ৪০ শতক জমিতে বারি -১ জাতের মাল্টা থোকায় থোকায় ঝুলছে। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে সবুজ জাতের মাল্টার ভারে। যা রসালো ও মিষ্টিতে ভরা। বাগানের এমন দৃশ্যে আশার আলো দেখছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল গ্রামের আজিজুল ইসলাম।

গত বছর তিনি প্রায় এক লাখ আয় করেন মাল্টার বাগান থেকে। এ বছর দ্বিগুন আশা করছেন। তার চাষাবাদের জমি রয়েছে প্রায় পনের বিঘা। বাগানের অভাবনীয় মাল্টা উৎপাদন দেখে তিনি আগামীতে আরো অনেক জমিতে মাল্টা চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। মাল্টার সাথে তিনি সাথী ফসলও করেন। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ক্ষীরা, রসুন ও মাসকলাই করেও সফলতা পেয়েছেন।

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাগানে ক্ষতিকর কোন ঔষধ প্রয়োগ করি না। পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে খায় আমার মাল্টা। শখ করে মাল্টা লাগিয়েছিলাম। স্থানীয় কৃষি দপ্তর ৬০টি বারী-১ চারা আমাকে দিয়েছিল। আমার বাগানে এখন দুইশটি মাল্টার গাছ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাগানটি আমার দর্শণীয় হওয়ার কারণে উঠতি বয়সের তরুণরা আসে ভিডিও করে। অনেকে লাইফও করে। শুনেছি এরা নাকি থাই গেম খেলে। সফল মাল্টা চাষী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের সাথে প্রতরণা করে লাখপতি হয়। তাদের অনাগোনায় আমরা ক্লান্ত হয়ে পরেছি।

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে মাল্টার সাথে সাথী ফসলের যাত্রা শুরু হয় আমার। দুই বছরে মাল্টার সফলতা না পেলও তৃতীয় বছরে আশার আলো দেখি। মার্চ-এপ্রিল মাসে মুকুল আসে মাল্টার। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফল কর্তন শেষ হয়।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার লোকমান আলম বলেন, এই এলাকা মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগি। ১১০ জন কৃষক ২ শত ৪০ বিঘা(৩৩শতক) জমিতে বারী-১, বারী-২ ও ভিয়েতনামী জাতের মাল্টা চাষ করেছে। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় আগামী বছরে এর পরিমান অনেক বৃদ্ধি পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


কিশোরগঞ্জে সবুজ জাতের মাল্টা চাষে আশার আলো দেখেন কৃষক আজিজুল

আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

ফজল কাদির: মাত্র ৪০ শতক জমিতে বারি -১ জাতের মাল্টা থোকায় থোকায় ঝুলছে। গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে সবুজ জাতের মাল্টার ভারে। যা রসালো ও মিষ্টিতে ভরা। বাগানের এমন দৃশ্যে আশার আলো দেখছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল গ্রামের আজিজুল ইসলাম।

গত বছর তিনি প্রায় এক লাখ আয় করেন মাল্টার বাগান থেকে। এ বছর দ্বিগুন আশা করছেন। তার চাষাবাদের জমি রয়েছে প্রায় পনের বিঘা। বাগানের অভাবনীয় মাল্টা উৎপাদন দেখে তিনি আগামীতে আরো অনেক জমিতে মাল্টা চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। মাল্টার সাথে তিনি সাথী ফসলও করেন। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ক্ষীরা, রসুন ও মাসকলাই করেও সফলতা পেয়েছেন।

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাগানে ক্ষতিকর কোন ঔষধ প্রয়োগ করি না। পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে খায় আমার মাল্টা। শখ করে মাল্টা লাগিয়েছিলাম। স্থানীয় কৃষি দপ্তর ৬০টি বারী-১ চারা আমাকে দিয়েছিল। আমার বাগানে এখন দুইশটি মাল্টার গাছ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাগানটি আমার দর্শণীয় হওয়ার কারণে উঠতি বয়সের তরুণরা আসে ভিডিও করে। অনেকে লাইফও করে। শুনেছি এরা নাকি থাই গেম খেলে। সফল মাল্টা চাষী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের সাথে প্রতরণা করে লাখপতি হয়। তাদের অনাগোনায় আমরা ক্লান্ত হয়ে পরেছি।

কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে মাল্টার সাথে সাথী ফসলের যাত্রা শুরু হয় আমার। দুই বছরে মাল্টার সফলতা না পেলও তৃতীয় বছরে আশার আলো দেখি। মার্চ-এপ্রিল মাসে মুকুল আসে মাল্টার। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফল কর্তন শেষ হয়।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার লোকমান আলম বলেন, এই এলাকা মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগি। ১১০ জন কৃষক ২ শত ৪০ বিঘা(৩৩শতক) জমিতে বারী-১, বারী-২ ও ভিয়েতনামী জাতের মাল্টা চাষ করেছে। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় আগামী বছরে এর পরিমান অনেক বৃদ্ধি পাবে।