টাকার অভাবে আটকে আছে সেঁজুতির অপারেশন

- আপডেট সময় : ১০:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ২৭০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রেইন টিউমারে (সুপ্রাসেলার এরাকনয়েড সিস্ট) আক্রান্ত শিশু সেঁজুতি রায় (৯)। কাঠমিস্ত্রি বাবা ৩ লাখ টাকা খরচ করে সম্পন্ন করেছেন প্রথম দফার অপারেশন। দ্বিতীয় দফা অফারেশনে আরো প্রয়োজন ২ লাখ টাকা। সে টাকা জোগাড় না হওয়ায় আটকে আছে চিকিৎসা।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি শিশু রায়ের মেয়ে সেঁজুতি রানী রায়। তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে ২০২০ সালে। সে সময়ে রংপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করানো হয় তার।
ভারতের বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এ- নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিউরো সাইন্স ডিপার্টমেন্টের ইউনিট প্রধান প্রফেসর ডা. ইন্দিরা বি দেবীর তত্ত্বাবধানে প্রথম দফার অপারেশন সম্পন্ন হয়। তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে ছয় মাস পর দ্বিতীয় দফায় অপারেশনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু সময় পার হলেও অর্থাভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি দ্বিতীয় অপারেশন। এখন শিশুটির পুরো সুস্থতায় দ্বিতীয় অপারেশনটি জরুরি হয়ে পড়েছে। সেটি না হলে ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে শিশুটি।
সেঁজুতির বাবা শিশু রায় জানান, কাঠমিস্ত্রির কাজে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ে কোনভাবে সংসার চলে তার। ৩ লাখ টাকা খরচ করে ভারতে নিয়ে সন্তানের প্রথম দফার অপারেশন করতে শেষ করেছেন সহায় সম্বল। দ্বিতীয় অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ২ লাখ টাকা। সে টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
সেঁজুতির গৃহিনী মা ছবিতা রানী রায় বলেন, হামার জমা টাকা নাই, ছাওয়ার কষ্ট সহ্য করিস না। পারি গরু, ছাগল বেচাইনো। কিছু টাকা ধার করি ৩ লাখ টাকায় অপারেশন করাইনো। ছয় মাস পর আরেকবার অপারেশন করিবার নাগিবে কইছে ডাক্তার। ওই ডেট পার হইছে, এলা টাকার অভাবোত চিকিৎসা আটকি আছে। ছাওয়াটাক চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চাছো মুই।
শিশুটির চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে পারবেন তার বাবা শিশু রায় কে, হিসাব নন্বর ১২২০০০০২৯৮৮, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, মিরজাগঞ্জ শাখা, ডোমার, নীলফামারী। যোগাযোগ এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৩৭৮৫২৪৯৪।
আপনার সহযোগিতায় হয়তো বেচে যাবে একটি প্রাণ। পূর্ণ থাকবে বাবা-মায়ের বুক।