বিদ্যালয় নিয়ে অপপ্রচার , শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ

- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে চলছে সাম্প্রতিক বিভিন্ন অপপ্রচার । এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, একটি মহল বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে করছে অপপ্রচার।
সূত্র জানায়, গত রবিবার ( ২০ জুলাই ) বিদ্যালয়ে বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থী কম আসায় শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকরা মিলে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি দেয়। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কিছু শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটি কে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিবেদক সরজমিনে তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তনুশ্রী রায় কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,গত রবিবার আমাদের ক্লাসে ৮জন শিক্ষার্থী আসছে। প্রতি ক্লাসে কম কম করে শিক্ষার্থী আসছিলো সেদিন । আবহাওয়া খারাপ ছিলো প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো । অনেক অভিবাবক আবহাওয়া খারাপের জন্য স্কুলে পাঠায় না । এজন্য অনেক কম শিক্ষার্থী হয়ে গাছিলো,পরে আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নেই হেট মেম কে জানানোর জন্য যেন আমাদের ছুটি দিয়ে দেয়।এবং আমরা সবাই মিলে হেট মেডাম কে একটা দরখাস্ত দেই।এবং পরে মেডাম আমাদের হাফ ক্লাস করে ছুটি দিয়ে দেয়।
নবম শ্রেনীর আরেক শিক্ষার্থী জানান , নরমালি ৪টার দিকে ছুটি হয়, ২০ তারিখ রবিবার সেদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে অনেকে সেদিন আসেনি।পরে আমরা দরখাস্ত দিলে মেম হাফ ক্লাস করে আমাদের ছুটি দিয়ে দেয়।
এবিষয়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান , সেদিন বৃষ্টি কম কখন ও কখন বেশি হচ্ছিলো আমরা আমরা বান্ধবীরা হাতেগনা ৩ জন এসেছিলাম। স্যার ক্লাস নিতে এসে দেখে আমরা ৩জন।পরে আমরা স্যার কে বলি আমরা মেম দরখাস্ত দিয়ে ছুটি নিয়ে চলে যাই আজ। পরে আরো পাশে থাকা অন্যান্য শ্রেণীর ক্লাস ক্যাপ্টেন দের সাথে পরামর্শ করে সবাই মিলে দরখাস্ত দেই। এবং পরবর্তীতে ম্যামের নির্দেশে আমাদের অর্ধেক ক্লাস করে ছুটি দেওয়া ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণীর
সহকারী শিক্ষক আশরাফুল কবির তিনি জানান, ঐ দিন আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছিল পুরো প্রতিষ্ঠান মিলে ৭০-৭৫ জন শিক্ষার্থী ঐদিন বিদ্যালয়ে এসেছিল। দুইটি ক্লাসে একেবারেই কোন শিক্ষার্থী ছিল না । পরে সব শিক্ষার্থী মিলে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির জন্য একটি দরখাস্ত দেয় যাতে তারাতাড়ি ছুটি দেওয়া হয় । এবং প্রধান শিক্ষক সব শিক্ষকদের কে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয় মূলত ছয়টা ক্লাস থাকে চারটা ক্লাস করানোর পর টিফিন পিরিয়ডে দুপুর একটায় শিক্ষার্থীদের দরখাস্তর পরিপেক্ষিতে ছুটি দেওয়া হয়। এবং কি এই প্রথম এইভাবে কম শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসায় ছুটি দেওয়া হয় ।
এ বিষয়ে তুলশীরাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শিল্পী আক্তার জানান ,গত রবিবার আমি ৯টা ৪৫ মিনিটে স্কুলে আসি। স্কুলের ক্লাস ১০টা থেকে শুরু হয়। আর ওই দিন সকাল ১০টা ১০ পর্যন্ত প্রচন্ড বৃষ্টি আবহাওয়া খুবই খারাপ হয়েছিলো।আর অধিকাংশ বাসা অনেক দূরে আর সেদিন খারাপ আবহাওয়ায় কেউ আসতে পারে নাই। প্রায় প্রতিটি শ্রেনীতে ২ -৩ আর মোটে ৭৫ জন মোট শিক্ষার্থীরা আসেন। কোন কোন ক্লাসে শিক্ষার্থীরাই ছিল না। পুরো ফাঁকা ছিল ক্লাস রুম। তারপর সকল শিক্ষার্থীরা মিলে আমাকে একটি দরখাস্ত দেয় দরখাস্তর প্রেক্ষিতে টিফিন পিরিয়ডের পর আমি সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে দেই।
তিনি আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঐদিন সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিল সকল ক্লাসরুমে এবং তৎক্ষণিক আমি সকল শিক্ষককে আমার অফিসে ডাকি। এবং আমি ঐদিন বিদ্যালয়ে আপনার সাংবাদিকদের জানাই আজকে বৃষ্টির দিন ছাত্রী উপস্থিতি কম দরখাস্তর প্রেক্ষিতে টিফিন পিরিয়ডের পর সকলকে ছুটি দেওয়া হয়। এবং পরে আমাকে নানান প্রশ্ন করার পর তারা চলে গিয়ে পরের দিন আমি সকালে দেখি অত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখা হয় প্রধান শিক্ষকের রুমে তালাঝোলা কিন্তু ঐদিন প্রধান শিক্ষকের রুম বা আমার রুমে কোন তালা ঝুলা ছিল না। আর আর ঐদিন অফিসের কাজ থাকায় আমি রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত পুর স্কুলে উপস্থিত ছিলাম। এবং পরীক্ষা নিয়ে এবং খাতা কাটা বিষয় নিয়ে আমরা শিক্ষকদের সাথে একসাথে বসে আমরা রাত ৯:৩০ টা পর্যন্ত আমরা স্কুলে ভর্তি ছিলাম। এবং তারা নিউজে প্রকাশ করে আমার আমার রুমে নাকি তালা ঝুলানো ছিলো।এভাবেই সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, মূলত বিষয়টি আমি জেনেছি এবং আমি খোঁজ খবর নিয়েছি । ঐদিন বৃষ্টি হয় । প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কম আসে। তাই শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই প্রধান শিক্ষক ঐদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেয়।