সৈয়দপুর ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপহরণের দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

মো: সাহিদুল ইসলাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর অপহরণের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তার। অপহরণকারীরাও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী থানা বাজার এলাকার মোঃ লালু মিয়ার কন্যা লিমু আক্তার লিমা (১৩) রওনা হন। স্কুলের সামনে জনৈক জয়নুল ইসলামের দোকানের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত আসিফ ইসলাম (১৯) ও তার আরও ছয়জন সহযোগী জোরপূর্বক অটো চার্জার রিকশা যোগে মেয়েটিকে অপহরণ করে।

অভিযুক্তরা হলেন—ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গিরিয়ার ডাঙা বিওপির মোঃ তরিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ আসিফ ইসলাম (১৯), মৃত ইব্রাহিম আর্মির পুত্র মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪৫), কাজীরহাট বোদাপাড়ার মৃত ছলেমান আলীর পুত্র রিমুন ইসলাম (৩৫), নিজ ভোগডাবুড়ী ডাঙাপাড়ার মৃত নুরল হকের পুত্র মোঃ আবুল কালাম (৫০), দোকানীপাড়ার মৃত পানার উদ্দিনের পুত্র আবু হাসান কামরুজ্জামান ডাবলু, গিরিয়ার ডাঙার মোঃ মিলন পারভেজের পুত্র মোঃ ইমন ইসলাম (১৯) ও চিলাহাটি ক্লিনিকপাড়ার আবু তালেবের পুত্র মোঃ রাহি ইসলাম (১৯)।

অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে স্কুলছাত্রীটির বাবা মোঃ লালু মিয়া ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

থানা সুত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবার দায়েরকৃত অভিযোগটি ১৬ই সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় ডোমার থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং- ১৬ (তারিখ- ১৬/০৯/২০২৩)।

অপহরণের বিষয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা মোঃ লালু মিয়া বলেন, আমার মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার এতদিন হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাইনি। এযাবৎ আমার মেয়ে এবং অভিযুক্ত আসামিদের বের করতে পারেনি পুলিশ। আমি দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডোমার থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ মশিউর রহমান জানান, অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলায় উল্লিখিত ৭ আসামির মধ্যে তিনজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

এবিষয়ে ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় বহু পদক্ষেপ নিয়েছি। এব্যাপারে দুই পক্ষের সাথে সমঝোতায় বসার পরদিন থেকে ছেলে ও ছেলের পরিবারের সবার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’

এব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, এ ঘটনায় ডোমার থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যা তদন্তাধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


অপহরণের দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর অপহরণের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তার। অপহরণকারীরাও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী থানা বাজার এলাকার মোঃ লালু মিয়ার কন্যা লিমু আক্তার লিমা (১৩) রওনা হন। স্কুলের সামনে জনৈক জয়নুল ইসলামের দোকানের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত আসিফ ইসলাম (১৯) ও তার আরও ছয়জন সহযোগী জোরপূর্বক অটো চার্জার রিকশা যোগে মেয়েটিকে অপহরণ করে।

অভিযুক্তরা হলেন—ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গিরিয়ার ডাঙা বিওপির মোঃ তরিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ আসিফ ইসলাম (১৯), মৃত ইব্রাহিম আর্মির পুত্র মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪৫), কাজীরহাট বোদাপাড়ার মৃত ছলেমান আলীর পুত্র রিমুন ইসলাম (৩৫), নিজ ভোগডাবুড়ী ডাঙাপাড়ার মৃত নুরল হকের পুত্র মোঃ আবুল কালাম (৫০), দোকানীপাড়ার মৃত পানার উদ্দিনের পুত্র আবু হাসান কামরুজ্জামান ডাবলু, গিরিয়ার ডাঙার মোঃ মিলন পারভেজের পুত্র মোঃ ইমন ইসলাম (১৯) ও চিলাহাটি ক্লিনিকপাড়ার আবু তালেবের পুত্র মোঃ রাহি ইসলাম (১৯)।

অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে স্কুলছাত্রীটির বাবা মোঃ লালু মিয়া ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

থানা সুত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবার দায়েরকৃত অভিযোগটি ১৬ই সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় ডোমার থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং- ১৬ (তারিখ- ১৬/০৯/২০২৩)।

অপহরণের বিষয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা মোঃ লালু মিয়া বলেন, আমার মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার এতদিন হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাইনি। এযাবৎ আমার মেয়ে এবং অভিযুক্ত আসামিদের বের করতে পারেনি পুলিশ। আমি দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডোমার থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ মশিউর রহমান জানান, অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলায় উল্লিখিত ৭ আসামির মধ্যে তিনজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

এবিষয়ে ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় বহু পদক্ষেপ নিয়েছি। এব্যাপারে দুই পক্ষের সাথে সমঝোতায় বসার পরদিন থেকে ছেলে ও ছেলের পরিবারের সবার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’

এব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, এ ঘটনায় ডোমার থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যা তদন্তাধীন রয়েছে।