সৈয়দপুর ০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবসরের আগে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য

আবু তাহের
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবু তাহের, বিশেষ প্রতিনিধি: চাকরি মেয়াদের শেষ দুই মাস আগে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য আব্দুস ছামাদ (৫৭)। তিনি এ বছর কারিগরি বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে পাস করলেন। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে বগুড়া সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন।

আব্দুস ছামাদ নাটোরের লালপুরের মোহরকয়া নতুনপাড়া মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন।

রবিবার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়।

আব্দুস ছামাদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস হলো বগুড়া কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীর ট্রাফিক বিভাগে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় নাটোরের লালপুরের একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন।

তিনি আরও জানান, প্রায় ৩৭ বছর আগে পুলিশ বিভাগে চাকরি পান তিনি। ওই সময় তার এসএসসি সম্পন্ন করা ছিল না। চাকরির মেয়াদও শেষের দিকে, আর মাত্র দু’মাস বাকি। চাকরির শেষে বসে না থেকে কিছু করতে চান। এজন্য নতুন করে পড়ালেখা শুরু করা।

এবার এইচএসসি পাসের জন্য বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি হবেন তিনি। তারপরে হোমিও চিকিৎসা নিয়ে পড়ার ইচ্ছা এই পুলিশ সদস্যের।

আব্দুস ছামাদ বলেন, অবসরের জীবনটা এমনি এমনি কাটাতে চাই না। অনেক দিনের ইচ্ছা হোমিও চিকিৎসা পেশায় আসা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এসএসসি দিয়েছি। বগুড়ার হোমিও কলেজে পড়ালেখা করার ইচ্ছা আছে।

তার সাফল্যের বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্মস্থলের সবাই জেনেছেন। এজন্য বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ পাচ্ছেন তিনি।

বগুড়া সদর ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, চাকরি জীবনের প্রায় শেষ বয়সে এসে এসএসসি পাস করা এটা খুব আনন্দের বিষয়। এতে বোঝা যায় যে শিক্ষার প্রতি তার একটা আগ্রহ এবং অনুরাগ রয়ে গেছে। বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে তিনি যখন যোগ দিয়েছিলেন তখন শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস করেই যোগদান করা যেত।

ব্যক্তি জীবনে আব্দুস ছামাদের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


অবসরের আগে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য

আপডেট সময় : ০৬:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

আবু তাহের, বিশেষ প্রতিনিধি: চাকরি মেয়াদের শেষ দুই মাস আগে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য আব্দুস ছামাদ (৫৭)। তিনি এ বছর কারিগরি বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে পাস করলেন। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে বগুড়া সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন।

আব্দুস ছামাদ নাটোরের লালপুরের মোহরকয়া নতুনপাড়া মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন।

রবিবার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়।

আব্দুস ছামাদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস হলো বগুড়া কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীর ট্রাফিক বিভাগে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় নাটোরের লালপুরের একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন।

তিনি আরও জানান, প্রায় ৩৭ বছর আগে পুলিশ বিভাগে চাকরি পান তিনি। ওই সময় তার এসএসসি সম্পন্ন করা ছিল না। চাকরির মেয়াদও শেষের দিকে, আর মাত্র দু’মাস বাকি। চাকরির শেষে বসে না থেকে কিছু করতে চান। এজন্য নতুন করে পড়ালেখা শুরু করা।

এবার এইচএসসি পাসের জন্য বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ভর্তি হবেন তিনি। তারপরে হোমিও চিকিৎসা নিয়ে পড়ার ইচ্ছা এই পুলিশ সদস্যের।

আব্দুস ছামাদ বলেন, অবসরের জীবনটা এমনি এমনি কাটাতে চাই না। অনেক দিনের ইচ্ছা হোমিও চিকিৎসা পেশায় আসা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এসএসসি দিয়েছি। বগুড়ার হোমিও কলেজে পড়ালেখা করার ইচ্ছা আছে।

তার সাফল্যের বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্মস্থলের সবাই জেনেছেন। এজন্য বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ পাচ্ছেন তিনি।

বগুড়া সদর ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, চাকরি জীবনের প্রায় শেষ বয়সে এসে এসএসসি পাস করা এটা খুব আনন্দের বিষয়। এতে বোঝা যায় যে শিক্ষার প্রতি তার একটা আগ্রহ এবং অনুরাগ রয়ে গেছে। বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে তিনি যখন যোগ দিয়েছিলেন তখন শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস করেই যোগদান করা যেত।

ব্যক্তি জীবনে আব্দুস ছামাদের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।