সৈয়দপুর ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা, কম্বল একটা পেয়য়া খুব উপকার হইল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ “কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা হামার এডাই (আমার এখানে)। আইতোদ (রাতে) দুই খ্যান খেতা (কাঁথা) গাত (গায়ে) দিয়া থাকোং, ঠান্ডা যায় না। ঠান্ডায় ফির আইতোদ (রাতে) ঘুমে হয় না। আজ কম্বল একটা পেয়য়া (পেয়ে) খুব উপকার হইল।”

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের দোয়ালি পাড়া গ্রামের মেহের জামাল (৭০) এভাবেই কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, “এতো ঠান্ডা না, মেম্বার চেয়ারম্যান কাউও খোঁজ খবর নিবার আইসে নাই। যাই হোক বাবা কম্বলটা পেয়য়া (পেয়ে) অনেক ভাল হইল।”

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরডিআরএস অফিস চত্বরে শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহীন আহমেদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আলী, ইউপি সদস্য (মেম্বার) রহিমউদ্দিন হায়দার রিপন, চেয়ারম্যান ছেলে উমর ফারুক ও ফরহাদ রেজা প্রমুখ।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, “শীত ও খরায় সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে পরে। তাদের কষ্টের কথা শুনে আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছে, এটা খুবই ভালো কাজ হয়েছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিমউদ্দিন হায়দার রিপন বলেন, “ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন আমার এলাকায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করল। শীতবস্ত্র পেয়ে সবাই অনেক খুশি হয়েছে। আমি বলব যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল মানুষজন এগিয়ে আসলে এসব মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা, কম্বল একটা পেয়য়া খুব উপকার হইল

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ “কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা হামার এডাই (আমার এখানে)। আইতোদ (রাতে) দুই খ্যান খেতা (কাঁথা) গাত (গায়ে) দিয়া থাকোং, ঠান্ডা যায় না। ঠান্ডায় ফির আইতোদ (রাতে) ঘুমে হয় না। আজ কম্বল একটা পেয়য়া (পেয়ে) খুব উপকার হইল।”

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের দোয়ালি পাড়া গ্রামের মেহের জামাল (৭০) এভাবেই কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, “এতো ঠান্ডা না, মেম্বার চেয়ারম্যান কাউও খোঁজ খবর নিবার আইসে নাই। যাই হোক বাবা কম্বলটা পেয়য়া (পেয়ে) অনেক ভাল হইল।”

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরডিআরএস অফিস চত্বরে শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহীন আহমেদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আলী, ইউপি সদস্য (মেম্বার) রহিমউদ্দিন হায়দার রিপন, চেয়ারম্যান ছেলে উমর ফারুক ও ফরহাদ রেজা প্রমুখ।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, “শীত ও খরায় সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে পরে। তাদের কষ্টের কথা শুনে আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছে, এটা খুবই ভালো কাজ হয়েছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিমউদ্দিন হায়দার রিপন বলেন, “ঢাকার আল নাদওয়াহ ফাউন্ডেশন আমার এলাকায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করল। শীতবস্ত্র পেয়ে সবাই অনেক খুশি হয়েছে। আমি বলব যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল মানুষজন এগিয়ে আসলে এসব মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।”