সৈয়দপুর ০১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে গুলিতে নিহত নাঈমের বিধবা মায়ের আহাজারী যেন থামছেই না

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ গার্মেন্টসকর্মী হাফেজ নাঈম ইসলামর মা হাসনা বানুর আহাজারী যেন থামছেই না। বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে তার একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে নাঈম নিহত হন। ছেলে হারানোর শোক এখনও সামলাত পারছেন না। সব সময় তিনি বিলাপ করেন।

নিহত নাঈম নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। বাবা হারানোর কষ্ট বিধবা মা ও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আঠারো বছরের নাঈম কাজের সন্ধ্যানে ছুটে গিয়েছিলেন রাজধানীর সাভারে। চাকুরি করতেন সিএম নামের তৈরী পোষাক কারখানায়। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট তিনি মারা যান। মা হাসনা বানু ঘটনার পর থেকেই বিলাপ করছেন।

তিনি জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ছেলের মরদেহ বুঝিয়ে পেয়ে লাশ পরের দিন গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারানো মা হাসনা বানুর আহাজারি যেন থামছেনা।

রবিবার সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে শোকে মুহ্যমান হয়ে তিনি বিলাপ করতে করতে বলছিলেন কিভাবে চলবে তার অভাবের সংসার। কে ধরবে এখন সংসারের হাল ? ছেলে নাঈমকে কোরআনের হাফেজ বানিয়েছিলাম। আমার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ওই একমাত্র কর্মক্ষম। ওর বাবা জটিলরোগে মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে গেলো ঢাকায়। এখন ছেলেকেও হারালাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


কিশোরগঞ্জে গুলিতে নিহত নাঈমের বিধবা মায়ের আহাজারী যেন থামছেই না

আপডেট সময় : ০৬:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ গার্মেন্টসকর্মী হাফেজ নাঈম ইসলামর মা হাসনা বানুর আহাজারী যেন থামছেই না। বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে তার একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে নাঈম নিহত হন। ছেলে হারানোর শোক এখনও সামলাত পারছেন না। সব সময় তিনি বিলাপ করেন।

নিহত নাঈম নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। বাবা হারানোর কষ্ট বিধবা মা ও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আঠারো বছরের নাঈম কাজের সন্ধ্যানে ছুটে গিয়েছিলেন রাজধানীর সাভারে। চাকুরি করতেন সিএম নামের তৈরী পোষাক কারখানায়। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট তিনি মারা যান। মা হাসনা বানু ঘটনার পর থেকেই বিলাপ করছেন।

তিনি জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ছেলের মরদেহ বুঝিয়ে পেয়ে লাশ পরের দিন গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারানো মা হাসনা বানুর আহাজারি যেন থামছেনা।

রবিবার সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে শোকে মুহ্যমান হয়ে তিনি বিলাপ করতে করতে বলছিলেন কিভাবে চলবে তার অভাবের সংসার। কে ধরবে এখন সংসারের হাল ? ছেলে নাঈমকে কোরআনের হাফেজ বানিয়েছিলাম। আমার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ওই একমাত্র কর্মক্ষম। ওর বাবা জটিলরোগে মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে গেলো ঢাকায়। এখন ছেলেকেও হারালাম।