সৈয়দপুর ০৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খানসামায় সাংবাদিক দম্পতিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

মো: আজিজার রহমান
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনাজপুর প্রতিনিধি: মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার খানসামা (দিনাজপুর) উপজেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল চন্দ্র রায়।

শনিবার (৮ জুলাই) সাংবাদকর্মী ও ঠিকাদার তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী (তাজ চৌধুরী) ও তার স্ত্রী চৌধুরী নুপুর নাহার গত ১ জুলাই শনিবার দিবাগত রাত্রি বেলায় সংবাদকর্মী  উজ্জ্বল চন্দ্র রায়ের নামে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার ও কথিত হক প্রকাশ নামে একটি ফেইসবুক আইডির পরিচালক উল্লেখ করে, তাদের নিজ ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন এবং অন্য আরেকজন ব্যক্তির কমেন্টে উত্তর দিয়ে নুপুর নাহার তাজ বলেন যে, সংবাদকর্মী উজ্জ্বল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সংবাদকর্মী  উজ্জ্বল চন্দ্র রায়।

সংবাদ সম্মেলনে উজ্জ্বল চন্দ্র রায় বলেন, আমার নামে সম্পূর্ণ  মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং যার কোন প্রমাণ তথ্য তাদের কাছে নেই। তারা পরিকল্পিত ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য প্রচার করেছেন, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, কথিত তাজ চৌধুরী ও চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ সাংবাদিক পেশাকে পুজিঁ করে বিভিন্ন কৌশলে ঠিকাদারী কাজ হাতিয়ে নেন এবং ঠিকাদারী করেন।

গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে আমি খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাব (পাকেরহাট) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আমি সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে ছিলাম। ভোটে পরাজয়ের কারণে তাদের সাথে আমার মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই মতবিরোধকে কেন্দ্র করে  আমাকে ঐ কমিটিতে নিয়ম না মেনে সদস্য পদে রাখেন। সেই মতবিরোধের কারণে তাদের সাথে আমার  সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং আমি ফেইসবুক আইডি থেকে তাদের ব্লক করে দেই। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ ও কথোপকথন হয়নি এবং গত ২৩ জানুয়ারী উপজেলার পাকেরহাট গুন্দুশাহপাড়ার গ্রামীণ রাস্তার কাজে অবৈধভাবে বালু না দিয়ে শেষ করার অভিযোগ প্রদান করি, উপজেলার ইউএনও, পিআইও কর্মকর্তাকে এবং খানসামা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের।

অভিযোগ পাওয়ার পরে সাংবাদিকগণ ওই রাস্তার তথ্য নিতে গেলে তাদের দেখতে পেয়ে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি  দেখায়। এরপরেও তারা রাস্তাটির সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করে এবং দুর্নীতির তথ্য সঠিক হওয়ায় তারা সংবাদ প্রকাশ করে।

অফিসারগনও তদন্ত করে দূর্নীতির সঠিক তথ্য পাওয়ায় গত ২১ মার্চ পিআইও অফিসারের নির্দেশনায় রাস্তাটির পুনরায় কাজ করার জন্য সম্পূর্ন ইট তুলে ফেলে কাজ করা হয়। যার নিউজও ওই সাংবাদিকগন প্রকাশ করেছেন। এমনকি গত ১৫ জুন উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি রাস্তা নতুন ভাবে কাজ করার জন্য সম্পূর্ন বিছানো ইট তুলে ফেলে রাখা হয় এবং সেই ইট ট্রলিতে বোঝাই করে ওই ঠিকাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি কালে আমি দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তাহার নির্দেশনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনা স্থলে এসে ট্রলি থেকে ইট নামিয়ে নেয়। পরে ওই ঠিকাদাররা আমি অভিযোগ করেছি বলে জানতে পেরে উপজেলা পরিষদে এসে আমার অনুপস্থিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে। এর পর গত ০১ জুলাই রাত্রে তারা স্বামী/স্ত্রী দুজনেই আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য শত্রুতামূলক ভাবে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়ায় বিভিন্ন পোষ্ট করেন। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল প্রমানাদি উপস্থাপন করতে না পারলে তাদের ফেইসবুক আইডি থেকে মিথ্যা পোষ্টগুলো তুলে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে পোষ্ট করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হইব।

একজন সাংবাদিকের কাজ সঠিক তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে নিউজ করা,সদা সত্যের পথে থেকে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা,সাংবাদিক হয়ে অপসাংবাদিকতা করা,ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করা,সাংবাদিকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা ও অপ-সাংবাদিকতায় সমাজের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করা নয়। তারা স্বামী স্ত্রী এরকম অপরাধ করেছে,তারা অপসাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছে। এজন্য তাদের কে সংগঠন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হউক এবং সাংবাদিকতা থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী খানসামা উপজেলা (পাকেরহাট) প্রেসক্লাবের সভাপতি ও  দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকায় ও চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ খানসামা উপজেলা (পাকেরহাট) প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক এবং
দৈনিক বাংলােদশ কন্ঠ ও দৈনিক ইনফো বাংলা পত্রিকায় কাজ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


খানসামায় সাংবাদিক দম্পতিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

দিনাজপুর প্রতিনিধি: মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার খানসামা (দিনাজপুর) উপজেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল চন্দ্র রায়।

শনিবার (৮ জুলাই) সাংবাদকর্মী ও ঠিকাদার তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী (তাজ চৌধুরী) ও তার স্ত্রী চৌধুরী নুপুর নাহার গত ১ জুলাই শনিবার দিবাগত রাত্রি বেলায় সংবাদকর্মী  উজ্জ্বল চন্দ্র রায়ের নামে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার ও কথিত হক প্রকাশ নামে একটি ফেইসবুক আইডির পরিচালক উল্লেখ করে, তাদের নিজ ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন এবং অন্য আরেকজন ব্যক্তির কমেন্টে উত্তর দিয়ে নুপুর নাহার তাজ বলেন যে, সংবাদকর্মী উজ্জ্বল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সংবাদকর্মী  উজ্জ্বল চন্দ্র রায়।

সংবাদ সম্মেলনে উজ্জ্বল চন্দ্র রায় বলেন, আমার নামে সম্পূর্ণ  মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং যার কোন প্রমাণ তথ্য তাদের কাছে নেই। তারা পরিকল্পিত ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য প্রচার করেছেন, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, কথিত তাজ চৌধুরী ও চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ সাংবাদিক পেশাকে পুজিঁ করে বিভিন্ন কৌশলে ঠিকাদারী কাজ হাতিয়ে নেন এবং ঠিকাদারী করেন।

গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে আমি খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাব (পাকেরহাট) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আমি সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে ছিলাম। ভোটে পরাজয়ের কারণে তাদের সাথে আমার মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই মতবিরোধকে কেন্দ্র করে  আমাকে ঐ কমিটিতে নিয়ম না মেনে সদস্য পদে রাখেন। সেই মতবিরোধের কারণে তাদের সাথে আমার  সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং আমি ফেইসবুক আইডি থেকে তাদের ব্লক করে দেই। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ ও কথোপকথন হয়নি এবং গত ২৩ জানুয়ারী উপজেলার পাকেরহাট গুন্দুশাহপাড়ার গ্রামীণ রাস্তার কাজে অবৈধভাবে বালু না দিয়ে শেষ করার অভিযোগ প্রদান করি, উপজেলার ইউএনও, পিআইও কর্মকর্তাকে এবং খানসামা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের।

অভিযোগ পাওয়ার পরে সাংবাদিকগণ ওই রাস্তার তথ্য নিতে গেলে তাদের দেখতে পেয়ে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি  দেখায়। এরপরেও তারা রাস্তাটির সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করে এবং দুর্নীতির তথ্য সঠিক হওয়ায় তারা সংবাদ প্রকাশ করে।

অফিসারগনও তদন্ত করে দূর্নীতির সঠিক তথ্য পাওয়ায় গত ২১ মার্চ পিআইও অফিসারের নির্দেশনায় রাস্তাটির পুনরায় কাজ করার জন্য সম্পূর্ন ইট তুলে ফেলে কাজ করা হয়। যার নিউজও ওই সাংবাদিকগন প্রকাশ করেছেন। এমনকি গত ১৫ জুন উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি রাস্তা নতুন ভাবে কাজ করার জন্য সম্পূর্ন বিছানো ইট তুলে ফেলে রাখা হয় এবং সেই ইট ট্রলিতে বোঝাই করে ওই ঠিকাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি কালে আমি দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তাহার নির্দেশনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনা স্থলে এসে ট্রলি থেকে ইট নামিয়ে নেয়। পরে ওই ঠিকাদাররা আমি অভিযোগ করেছি বলে জানতে পেরে উপজেলা পরিষদে এসে আমার অনুপস্থিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে। এর পর গত ০১ জুলাই রাত্রে তারা স্বামী/স্ত্রী দুজনেই আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য শত্রুতামূলক ভাবে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়ায় বিভিন্ন পোষ্ট করেন। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল প্রমানাদি উপস্থাপন করতে না পারলে তাদের ফেইসবুক আইডি থেকে মিথ্যা পোষ্টগুলো তুলে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে পোষ্ট করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হইব।

একজন সাংবাদিকের কাজ সঠিক তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে নিউজ করা,সদা সত্যের পথে থেকে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা,সাংবাদিক হয়ে অপসাংবাদিকতা করা,ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করা,সাংবাদিকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা ও অপ-সাংবাদিকতায় সমাজের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করা নয়। তারা স্বামী স্ত্রী এরকম অপরাধ করেছে,তারা অপসাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছে। এজন্য তাদের কে সংগঠন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হউক এবং সাংবাদিকতা থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী খানসামা উপজেলা (পাকেরহাট) প্রেসক্লাবের সভাপতি ও  দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকায় ও চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ খানসামা উপজেলা (পাকেরহাট) প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক এবং
দৈনিক বাংলােদশ কন্ঠ ও দৈনিক ইনফো বাংলা পত্রিকায় কাজ করেন।