সৈয়দপুর ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে  মাদক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ৩১ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চিরিরবন্দর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাদক ব্যবসায়ি হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ গত ২৮ ডিসেম্বর চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা সাকিনস্থ অ্যাম্বিশন রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন পুকুরে প্রাপ্ত অজ্ঞাতনামা লাশ সংক্রান্ত হত্যা মামলার একজন অন্যতন প্রধান আসামি চিরিরবন্দরের ফকিরপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল ২৯ ডিসেম্বর চিরিরবন্দরের থানাধীন ফকিরপাড়া এলাকা হতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের অন্যতম মূলহোতা প্রধান আসামী মোঃ সামিনুল (৪০) কে চিরিরবন্দরের রানীপুর (ভন্ডপাড়া) থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী মোঃ সামিনুল (৪০) চিরিরবন্দর থানাধীন রানিপুর তেলীপাড়ার মোঃ ওয়াহেদ আলীর পুত্র। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যাকান্ডের ঘটনার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। ধৃত আসামীকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে শুক্রবার সন্ধায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর।

উল্লেখ্য, জেলার চিরিরবন্দর থানাধীন রানিপুর সাকিনস্থ জনৈকা মোসাঃ হাসিনা বানু (৭৭), স্বামী-মৃত মোকছেদ আলী এর ছেলে ভিকটিম হাসানুর রহমান (৪২) গত ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরী কাজের কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপিস্থ বাঁশতলায় অ্যাম্বিশন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর দক্ষিণ পার্শ্বে একটি পুকুর হতে ভাসমান অবস্থায় উক্ত ভিকটিমের মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি মৃতের পরিবারবর্গ লোকমুখে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং বর্ণিত হত্যাকান্ডের উপরোক্ত অন্যতম প্রধান আসামীকে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


চিরিরবন্দরে  মাদক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

চিরিরবন্দর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাদক ব্যবসায়ি হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ গত ২৮ ডিসেম্বর চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা সাকিনস্থ অ্যাম্বিশন রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন পুকুরে প্রাপ্ত অজ্ঞাতনামা লাশ সংক্রান্ত হত্যা মামলার একজন অন্যতন প্রধান আসামি চিরিরবন্দরের ফকিরপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল ২৯ ডিসেম্বর চিরিরবন্দরের থানাধীন ফকিরপাড়া এলাকা হতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের অন্যতম মূলহোতা প্রধান আসামী মোঃ সামিনুল (৪০) কে চিরিরবন্দরের রানীপুর (ভন্ডপাড়া) থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী মোঃ সামিনুল (৪০) চিরিরবন্দর থানাধীন রানিপুর তেলীপাড়ার মোঃ ওয়াহেদ আলীর পুত্র। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যাকান্ডের ঘটনার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। ধৃত আসামীকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে শুক্রবার সন্ধায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর।

উল্লেখ্য, জেলার চিরিরবন্দর থানাধীন রানিপুর সাকিনস্থ জনৈকা মোসাঃ হাসিনা বানু (৭৭), স্বামী-মৃত মোকছেদ আলী এর ছেলে ভিকটিম হাসানুর রহমান (৪২) গত ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরী কাজের কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপিস্থ বাঁশতলায় অ্যাম্বিশন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর দক্ষিণ পার্শ্বে একটি পুকুর হতে ভাসমান অবস্থায় উক্ত ভিকটিমের মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি মৃতের পরিবারবর্গ লোকমুখে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং বর্ণিত হত্যাকান্ডের উপরোক্ত অন্যতম প্রধান আসামীকে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।