সৈয়দপুর ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে ভুটানের প্রতিনিধি দল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ৩২ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণ ও একই সাথে খরচ কমাতে চিলাহাটি থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভূটান।

বৃহস্পতিবার (১০ই নভেম্বর) সকালের দিকে ভূটানের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে আসেন, ভুটানের কাউন্সিলার কিনছো থিনলে, ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান ও ঢাকাস্থ এডিবির কার্যলয়ের কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ। চিলাহাটি রেলস্টেশনের পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পর তারা বলেন, অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা গেলে এই রেলপথ দিয়ে বানিজ্যের বড় সম্ভবনা তৈরি হবে । একই সাথে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে এই সম্ভবনা আরও বেশি গতি পাবে।
বর্তমানে ভারত থেকে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহি মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী রেল চিলাহাটি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে। তবে বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণে এবং খরচ কমাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভূটান।
বর্তমানে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। তবে চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরের দুরত্ব যেমন কমবে একই সাথে অনেকবেশি পণ্য আনা নেয়া করা যাবে। ফলে খরচ ও দুরত্ব দুইই কমবে। আর সে কারনে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্যে সম্প্রসারনে এই রেলপথ নতুন সম্ভবনা হয়ে দেখা দিচ্ছে। এডিবির একজন বিশেষজ্ঞকে সাথে নিয়ে ভূটানের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। এসময় লুপ লাইনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এর আগে রেলের উধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তারা একটি বৈঠক করেন। পরিদর্শন শেষে ভূটান প্রতিনিধি দলের পক্ষে সফরে আসা এডিবি কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ জানান, এই রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরে সহজে বানিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে বানিজ্যের ক্ষেত্র বাড়বে।
রেলওয়ে বিভাগ বলছে, ভূটান রেলপথ ব্যবহারে আশার কথা জানিয়েছে। এটি শুরু হলে রেলবিভাগের রাজস্ব আয় বাড়বে বহুগুনে। তবে ২০২৪ সালের পর নিজস্ব পণ্যবাহী ওয়াগন দিয়ে পণ্য আমদানী রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ করা গেলে স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব হবে।

সুজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধাণ বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, পশ্চিমাঞ্চল রেল ও শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, পাকশি জানিয়েছে, বর্তমানে যে লুপ লাইন রয়েছে সেটির ধারন ক্ষমতা ৬০০ মিটার থেকে ৭৫০ মিটার করা হচ্ছে। যার কাজ দ্রুত শেষ হবে। এটি শেষ হলে ৫০ টি পর্যন্ত পণ্যবাহী ওয়াগন রাখা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে ভুটানের প্রতিনিধি দল

আপডেট সময় : ০৬:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণ ও একই সাথে খরচ কমাতে চিলাহাটি থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভূটান।

বৃহস্পতিবার (১০ই নভেম্বর) সকালের দিকে ভূটানের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে আসেন, ভুটানের কাউন্সিলার কিনছো থিনলে, ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান ও ঢাকাস্থ এডিবির কার্যলয়ের কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ। চিলাহাটি রেলস্টেশনের পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পর তারা বলেন, অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা গেলে এই রেলপথ দিয়ে বানিজ্যের বড় সম্ভবনা তৈরি হবে । একই সাথে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে এই সম্ভবনা আরও বেশি গতি পাবে।
বর্তমানে ভারত থেকে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহি মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী রেল চিলাহাটি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে। তবে বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণে এবং খরচ কমাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভূটান।
বর্তমানে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। তবে চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরের দুরত্ব যেমন কমবে একই সাথে অনেকবেশি পণ্য আনা নেয়া করা যাবে। ফলে খরচ ও দুরত্ব দুইই কমবে। আর সে কারনে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্যে সম্প্রসারনে এই রেলপথ নতুন সম্ভবনা হয়ে দেখা দিচ্ছে। এডিবির একজন বিশেষজ্ঞকে সাথে নিয়ে ভূটানের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। এসময় লুপ লাইনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এর আগে রেলের উধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তারা একটি বৈঠক করেন। পরিদর্শন শেষে ভূটান প্রতিনিধি দলের পক্ষে সফরে আসা এডিবি কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহমেদ জানান, এই রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরে সহজে বানিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে বানিজ্যের ক্ষেত্র বাড়বে।
রেলওয়ে বিভাগ বলছে, ভূটান রেলপথ ব্যবহারে আশার কথা জানিয়েছে। এটি শুরু হলে রেলবিভাগের রাজস্ব আয় বাড়বে বহুগুনে। তবে ২০২৪ সালের পর নিজস্ব পণ্যবাহী ওয়াগন দিয়ে পণ্য আমদানী রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ করা গেলে স্থলবন্দর চালু করা সম্ভব হবে।

সুজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধাণ বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, পশ্চিমাঞ্চল রেল ও শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, পাকশি জানিয়েছে, বর্তমানে যে লুপ লাইন রয়েছে সেটির ধারন ক্ষমতা ৬০০ মিটার থেকে ৭৫০ মিটার করা হচ্ছে। যার কাজ দ্রুত শেষ হবে। এটি শেষ হলে ৫০ টি পর্যন্ত পণ্যবাহী ওয়াগন রাখা সম্ভব হবে।