সৈয়দপুর ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন দিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদির: নীলফামারীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু এলাকা ডুবে গেছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। নীলফামারীর ছোট-বড় সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শাকসবজী ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মৎসচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারনে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারনে খেটে খাওয়া মানুষজন চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের পুরাতন ষ্টশন গ্রামের দিনমজুর বাচু মিয়া বলেন, “মুই ৩দিন থাকি কাজাত বের হবার পারো না। মুই একদিন কাজোত না গেলে মোর বাড়ীতে হাড়িতে আগুন জ্বলে নাই। মুই পরিবার নিয়া দিশাহারা হয়ে পড়িছু।”

ডোমার উপজেলার মাছ চাষী আব্দুর রহিম বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তার পুকুরের মাছ বের হয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে অব্যাহত ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারজের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদ সীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। পানির গতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


তিন দিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফজল কাদির: নীলফামারীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু এলাকা ডুবে গেছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। নীলফামারীর ছোট-বড় সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শাকসবজী ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মৎসচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারনে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারনে খেটে খাওয়া মানুষজন চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের পুরাতন ষ্টশন গ্রামের দিনমজুর বাচু মিয়া বলেন, “মুই ৩দিন থাকি কাজাত বের হবার পারো না। মুই একদিন কাজোত না গেলে মোর বাড়ীতে হাড়িতে আগুন জ্বলে নাই। মুই পরিবার নিয়া দিশাহারা হয়ে পড়িছু।”

ডোমার উপজেলার মাছ চাষী আব্দুর রহিম বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তার পুকুরের মাছ বের হয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে অব্যাহত ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারজের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদ সীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। পানির গতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।