দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার দেড়যুগ পূর্তিতে সৈয়দপুরে হকারদের মাঝে খাবার বিতরণ

- আপডেট সময় : ০৪:৫২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

শাহজাহান আলী মনন: দেশের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্র দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার দেড়যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে হকারদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের নিউজ ক্যাবিনের সামনে বর্ণমালা প্রেস কর্ণারে এর আয়োজন করেন সৈয়দপুর সংবাদদাতা মোঃ জাকির হোসেন।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পত্রিকা হকারদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর মহিলা লীগের সভাপতি রাফিকা আকতার জাহান বেবী, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম ও পত্রিকা এজেন্ট মন্ডল পেপার হাউজের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাজেদুল ইসলাম মজিদ মন্ডল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা জজ কোটের আইনজীবী এ্যাডভোকেট রাসেল রানা, পৌর জামায়াতের আমীর শরফুদ্দীন খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, ঔষধ ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক নিজু কুমার আগারওয়ালা ও শাহজাহান আলী মনন।
মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, নয়াদিগন্ত একটি মানসম্মত দৈনিক পত্রিকা। এই পত্রিকাসহ সকল পত্রিকার সংবাদকর্মীদের কাছে আমাদের চাওয়া সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। কোন তথ্য দিয়ে কাউকে যেন হেয় বা বিভ্রান্ত করা না হয়। অহেতুক কেউই যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং মনঃক্ষুণ্ন না হয়।
অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, পত্রিকা হলো জাতির দর্পন। এতে সমাজের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কোন হদিস যখন প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ করতে পারেনা। তখন সাংবাদিকরা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরায় সুরাহার পথ বের হয়। সাংবাদিকদের লেখনীতে দূর্নীতি, অনিয়ম প্রকাশ পায়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছে যে সাংবাদিকদের তাদের তথ্যের সোর্স বলতে বাধ্য করা যাবেনা। এই যুগান্তকারী রায়ের ফলে সংবাদকর্মীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীনদের অনৈতিক হেনস্তা থেকে রেহাই পাবেন। এতে পত্রিকাগুলো সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সক্রিয় হবে এবং জাতিকে সঠিক পথ পরিদর্শনে দায়িত্বশীল হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ডল পেপার হাউজ ও নিউজ ক্যাবিন পত্রিকা এজেন্টের অধীনে কর্মরত উপজেলার প্রায় ৩০ জন হকারকে লাঞ্চ প্যাকেট প্রদান করা হয়।