নীলফামারীতে আগাম আলু তোলার ধুম, পাইকাররা ক্ষেতেই কিনছে ৯০ টাকা

- আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

ফজল কাদিরঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু তুলছে কৃষকরা, পাইকাররা ফসলের মাঠেই আলু কিনছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা দরে।
আলুর ভান্ডার খ্যাত কিশোরগঞ্জে কৃষকরা প্রতিবছর স্থানীয় জাত সেভেন আলু রোপন করে। দাম পাওয়ার আশায় ৫১ দিনের মাথায় আলু উত্তোলন শুরু করেছে কৃষকরা।
গত মঙ্গলবার উপজেলার রণচন্ডী ইউপির কুঠিপাড়া গ্রামের আলু চাষী আসাদুল তার ২২ শতাংশ জমিতে রোপনকৃত আলু উত্তোলন করেছে। তিনি ওই জমি থেকে আলু পেয়েছে ৪০০ কেজি। ফসলের মাঠেই কোন ঝামেলা ছাড়াই পাইকারের কাছে কেজি প্রতি আলু বিক্রি করেছে ৯০ টাকা। ওই জমির উৎপাদিত আলু বাড়িতে খাওয়ার জন্য কিছু রেখে মোট ৩৬ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ওই ইউনিয়নের কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক আলু উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে। তারাও ৯০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি করছে বলেও জানা গেছে।
আলু উত্তোলনের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এলাকায় অবস্থান করে। তারা ফসলের মাঠেই আলু ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন বাজারে সে আলু পাঠিয়ে দেয়। ফলে এখানকার আলু শীতের শুরুতেই পাইকারদের হাত ধরে দেশের বিভিন্ন কাঁচা বাজারে ক্রেতাদের কাছে পৌছে যায়। ফসলের মাঠে বসেই আলু বিক্রি করে নগদ টাকা পায় কৃষকরা। এ এলাকার আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কৃষকরা প্রতিবছর আলুর দাম পেয়ে থাকেন। তাই এ ফসলকে এ এলাকার কৃষকদের ভাগ্য বদলের ফসলও বলা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম জানান- শীতের সবজি নতুন আলু এ উপজেলার দু’ একজন কৃষক উত্তোলন শুরু করেছে। সে আলু কেজি প্রতি ৯০ টাকা দরে ফসলের মাঠেই বিক্রি করছে কৃষকরা। তবে চার পাঁচ দিন পর নতুন আলু অহরহ বাজারে পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান- উপজেলায় ৬ হাজার শ’ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলুরই লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৭ শ’ হেক্টর।