সৈয়দপুর ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে তিস্তার পানির উন্নতি, ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

ফজল কাদির
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফজল কাদিরঃ টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট তিস্তা নদীর বন্যায় শতাধিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তার পানি সোমবার বিপৎসীমা থেকে নিচে নামলেও বন্যা প্লাবিত এলাকার পানি এখনও পুরাপুরি নেমে যায়নি। তবে ধীরে ধীরে পানি নামলেও বানভাসী পরিবারগুলার চরম দূর্ভাগে পোহাচ্ছে। রান্না করে খাওয়ার মতা পরিস্থিতি এখনও তৈরী হয়নি। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ভাবে চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে।

এদিকে পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। পাশাপাশি নদীর পানি দ্রুত নামছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। পানি কমে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে ফিরত শুরু করেছে বানভাসি মানুষ। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনসহ ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন।

বিভিন্ন সূত্র মতে তিস্তায় বন্যায় নীলফামারীত ১৫ হাজার মানুষ এই স্বল্প মেয়াদী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার মানুষজন বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

ডিমলা উপজেলা পিআইও মেজবাউর রহমান জানান, সোমবার ৫ ইউনিয়নে ৩০ মেট্রিক চাল, ১ হাজার ৫৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।

টপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি গ্রামের আজিজার মিয়া বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। এতে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর আমাদের ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। এবারও চলে যাবে হয়তো। এ নিয়ে চিন্তায় আছি।

ডালিয়া পাউবোর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


নীলফামারীতে তিস্তার পানির উন্নতি, ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

আপডেট সময় : ০২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফজল কাদিরঃ টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট তিস্তা নদীর বন্যায় শতাধিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তার পানি সোমবার বিপৎসীমা থেকে নিচে নামলেও বন্যা প্লাবিত এলাকার পানি এখনও পুরাপুরি নেমে যায়নি। তবে ধীরে ধীরে পানি নামলেও বানভাসী পরিবারগুলার চরম দূর্ভাগে পোহাচ্ছে। রান্না করে খাওয়ার মতা পরিস্থিতি এখনও তৈরী হয়নি। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ভাবে চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে।

এদিকে পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। পাশাপাশি নদীর পানি দ্রুত নামছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। পানি কমে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে ফিরত শুরু করেছে বানভাসি মানুষ। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনসহ ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন।

বিভিন্ন সূত্র মতে তিস্তায় বন্যায় নীলফামারীত ১৫ হাজার মানুষ এই স্বল্প মেয়াদী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার মানুষজন বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

ডিমলা উপজেলা পিআইও মেজবাউর রহমান জানান, সোমবার ৫ ইউনিয়নে ৩০ মেট্রিক চাল, ১ হাজার ৫৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।

টপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি গ্রামের আজিজার মিয়া বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। এতে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর আমাদের ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। এবারও চলে যাবে হয়তো। এ নিয়ে চিন্তায় আছি।

ডালিয়া পাউবোর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।