নীলফামারীতে পাউবোর ১০ কোটি টাকার দুটি সেচ খালে কাজে অনিয়ম

- আপডেট সময় : ১০:০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ফজল কাদিরঃ রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন কিশোরগঞ্জ উপজেলার দু’টি টারসিয়ারী খালে প্রায় ১০ কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়ম ও ঘাপলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোডের্র আওতায় বাস্তবায়নাধীন তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকা পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় টি-১ আর টারসিয়ারী সেচ খালের দু’পাশের ডাইক মেরামত ও পুনরাকৃতিকরণ কাজে বরাদ্দ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৪১৭ টাকা ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে টি-৫টি টারসিয়ারী সেচ খালে বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৪লাখ ৮৭ হাজার টাকা। ওই সেচ খাল দুটি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
এদিকে টি- ৫টি সেচ খালের পানি ব্যাবস্থাপনা কমিটির কার্যকরী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগে বলেন, সেচ খাল সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘাপলা রয়েছে। তার অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তার সাথে ঠিকাদাররা
যোগসাজস করে সিডিউল ও ইস্টিমিট অনুযায়ী
কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে বড়
ধরনের ঘাপলা দিচ্ছে। সিসি ঢালাইয়ের নিচে
বেডে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি বালু ও পানি দিয়ে মাটি
দৃঢ়করণ করে তারপর সিসি ঢালাই করার কথা। তা না
করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি বালু
দিয়ে মাটি দৃঢ়করণ ছাড়াই ঢালাইয়ের কাজ করেন।
এতে করে ভারী বন্যায় মাটি সরে গিয়ে খাল ভেঙ্গে
যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এছাড়া ওই সেচ খালের পানি ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ ছাদেকুল ইসলাম অভিযোগে বলেন, মেয়াদ উত্তির্ণ সিমেন্ট, নিম্নমানের বালু ও মরা পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে সিসি ও আরসিসি ঢালাইয়ে।
টি-১ সেচ খালে সরেজমিন পরিদশর্নকালে এলাকার
আজহারুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, আবতাব ও
আসাদুল অভিযোগ করেন, এই সেচ খালের কাজ
হচ্ছে অনিয়মে ভরা। তদারকি নেই। কাজের সময় শাখা
কর্মকর্তা শারফুল ইসলাম থাকেন লাপাত্তা। ফলে ইচ্ছে
মতোই কাজ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প দুটির ঠিকাদার অসিম সিং এবং হারুন অর রশিদের সাথে কথা তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা আমাদের কাছ থেকে সুবিধা চেয়েছিল। না পেয়ে অভিযোগ করেছে। তাছাড়া কাজের সময় তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে কাজ বাস্তবায়ন করে নিচ্ছেন।
এসব বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান জানান, আমরা প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শন করে কাজের মান ভাল দেখেছি।কোথাও কোন অনিয়ম হলে সেই দায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তাহেরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।