সৈয়দপুর ১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর মর্যাদা দাবীতে নারীর অবস্থান

নীলফামারী ডোমার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পাপন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী ডোমার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপনের (৩০) বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে অবস্থান নেন এক নারী। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাপনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সত্যা নিশ্চিত করে জেলা আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাপনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক পাপনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযুক্ত পাপন পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড সাহাপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় দেব রঞ্জন সর্বঞ্জের একমাত্র সন্তান। শুক্রবার (২ জুন) বিকাল পর্যন্ত পাপনের বাসায় অবস্থান করছিলেন ওই নারী। এর আগে নীলফামারী সদর থানায় পাপনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাপনের সাথে ওই মহিলার বিয়ে নিয়ে নানা রকম লেখালেখি ও অন্তরঙ মুহুর্তের ছবি পোস্ট করা নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়।

ওই নারী বলেন, পাপনের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৪ সালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বদেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পর সে আমাকে বলে এখন কাউকে জানাইও না। আমার মায়ের হার্টের সমস্যা, আমি আমার মাকে আস্তে আস্তে ম্যানেজ করে তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাব। এখন তুমি ভাড়া বাড়িতে থাক। আমি যখন সাহাপাড়া নারু সাহা নামে এক লোকের বাড়িতে ভাড়া ছিলাম তখন তার মা আমাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। পরে তার মা আমাকে গালাগাল করেন এবং মারতে আসেন। তারপর আমি যে বাড়িতে ভাড়া ছিলাম সে বাড়িওয়ালাকে বলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, তারপর আমরা ডোমার ও নীলফামারী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম। গত একমাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখাও করে না, খোঁজ খবর রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও রিসিভ করে না। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। আমি যেখানে ভাড়া থাকি, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামী কে? আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে সে। আজ আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।

নীলফামারী সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে ডোমার থেকে পাপনকে আটক করা হয়। শুক্রবার মামলা দায়েরের পর বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


স্ত্রীর মর্যাদা দাবীতে নারীর অবস্থান

নীলফামারী ডোমার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পাপন কারাগারে

আপডেট সময় : ০১:২৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী ডোমার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি অভিজিৎ সর্বঞ্জ পাপনের (৩০) বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে অবস্থান নেন এক নারী। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাপনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সত্যা নিশ্চিত করে জেলা আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাপনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক পাপনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযুক্ত পাপন পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড সাহাপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় দেব রঞ্জন সর্বঞ্জের একমাত্র সন্তান। শুক্রবার (২ জুন) বিকাল পর্যন্ত পাপনের বাসায় অবস্থান করছিলেন ওই নারী। এর আগে নীলফামারী সদর থানায় পাপনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাপনের সাথে ওই মহিলার বিয়ে নিয়ে নানা রকম লেখালেখি ও অন্তরঙ মুহুর্তের ছবি পোস্ট করা নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়।

ওই নারী বলেন, পাপনের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৪ সালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বদেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পর সে আমাকে বলে এখন কাউকে জানাইও না। আমার মায়ের হার্টের সমস্যা, আমি আমার মাকে আস্তে আস্তে ম্যানেজ করে তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাব। এখন তুমি ভাড়া বাড়িতে থাক। আমি যখন সাহাপাড়া নারু সাহা নামে এক লোকের বাড়িতে ভাড়া ছিলাম তখন তার মা আমাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। পরে তার মা আমাকে গালাগাল করেন এবং মারতে আসেন। তারপর আমি যে বাড়িতে ভাড়া ছিলাম সে বাড়িওয়ালাকে বলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, তারপর আমরা ডোমার ও নীলফামারী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম। গত একমাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখাও করে না, খোঁজ খবর রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও রিসিভ করে না। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। আমি যেখানে ভাড়া থাকি, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামী কে? আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে সে। আজ আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।

নীলফামারী সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে ডোমার থেকে পাপনকে আটক করা হয়। শুক্রবার মামলা দায়েরের পর বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।